ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় রোজার ঈদে শেখ হাসিনার উপহার জমি সহ নতুন ঘর পেলেন ২১০ পরিবার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় রোজার ঈদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে মাত্র এক টাকায় দুই শতক জমিসহ আড়াই লাখ টাকা ব্যয়ে একটি করে নতুন ঘর পেয়েছেন মোট ২১০ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তহবিলের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় তৃতীয়ধাপে উপজেলার মোট ২৫০ ভুমিহীন পরিবারকে জমিসহ একটি করে নতুন ঘর উপহার দিচ্ছেন। এরই অংশহিসেবে মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে উপকারভোগী নির্বাচিত ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর হাতে নতুন ঘরের দলিলপত্র এবং চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।

তাঁর আগে মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চকরিয়া উপজেলার উপকারভোগী নির্বাচিত ভুমিহীন ও গৃহহীন ২১০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে জমিসহ একটি নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় অনুষ্ঠিত জমিসহ একটি নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।

চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি মো.রাহাত উজ্জমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আমিন আল পারভেজ, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী, সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.তফিকুল আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্ট, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর মুহাম্মদ নুরুস শফি, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, উপকারভোগী নির্বাচিত ২১০ ভুমিহীন পরিবারেরন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, সরকার প্রধানের নীতিগত সিদ্বান্তের আলোকে ‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই শ্লোগানকে বাস্তবায়নের লক্ষে চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকা থেকে ইতোপুর্বে ৮’শ ৭৪টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা হয়। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৪’শ ৩০ পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়ধাপে উপকারভোগী নির্বাচিত এসব পরিবার সেখানে বসবাস করছে।

তিনি বলেন, একই প্রকল্পের অধীনে তৃতীয় দফায় চকরিয়া উপজেলা এবং পৌরসভা এলাকার ভুমিহীন ও গৃহহীন ২’শ ৫০ পরিবারের কাছে মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর করার জন্য নির্মিত হয়েছে। উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৫০টি, সাহারবিল ইউনিয়নে ৫৪টি, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮টি এবং পুর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ১৩৮টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

এসব ঘর আজ (মঙ্গলবার) ২৬ এপ্রিল সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে উদ্ধোধন করেন। তাঁর আগে গত ২৪ এপ্রিল উপকারভোগী নির্বাচিত আড়াইশত পরিবারের নামে জমির রেজিষ্ট্রিও সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রতিটি পরিবারের জন্য দুই শতক জমির কবুলিয়ত দিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)। আধাপাঁকা এসব ঘর নির্মাণে প্রতি ঘরের জন্য ব্যয় হয়েছে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা করে। এসব ঘরে ২টি রুম, বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে।

ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ২৫০টি নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২৫০ পরিবারের মধ্যে এদিন তৈরী হওয়া ২১০টি নতুন ঘরের জমির দলিলসহ চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকী ৪০ পরিবারের মধ্যে সহসা নতুন ঘর হস্তান্তর করা হবে। আশাকরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার নতুন ঘর পেয়ে ভুমিহীন ও গৃহহীন এসব পরিবার ঈদ উৎসব আনন্দের মধ্যে কাটাবে। ##

 

 

পাঠকের মতামত: