ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মারধরে প্রাণ গেল রোহিঙ্গার

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের দুর্গম মইক্কাঘোনা নামক সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর বসতি স্থাপনকারী দুইপক্ষের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলে একপক্ষের হামলা ও মারধরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এক রোহিঙ্গা নাগরিক।

খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করতে রাত ৯টার দিকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম মইক্কাঘোনা নামক সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

নিহত রোহিঙ্গা নাগরিকের নাম মো. ইউনুস (৪০)। তিনি ওই এলাকার দিল মোহাম্মদ দিলুর সন্তান পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ রাতে জানান, তার ইউনিয়নের দুর্গম মইক্কাঘোনা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

তিনি আরো জানান, ইফতারের আগে সেখানে রোহিঙ্গা নাগরিক ইউনুসের সঙ্গে নুরুন্নবীসহ দুইজনের মধ্যে তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় নুরুন্নবীদের মারধরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় ইউনুস।

চেয়ারম্যান আরো জানান, নিহত ইউনুস রোহিঙ্গা নাগরিক। কয়েক বছর আগে তিনি পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকার রহিমা খাতুন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর তারা চকরিয়ার হারবাংয়ের মইক্কাঘোনায় সংরক্ষিত বনভূমিতে এসে বসতি স্থাপন করেন। পাশাপাশি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুন্নবীসহ হামলায় জড়িতরাও হারবাংরে মইক্কাঘোনায় কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধরের সময় একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধারে যাচ্ছি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলা রুজু করা হবে। তবে সে রোহিঙ্গা নাগরিক কি না তা তদন্তের পর বলা যাবে।”

পাঠকের মতামত: