ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৩ মাদক কারবারি-সন্ত্রাসী নিহত, ইয়াবার বড় চালান, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার ওসিসহ ৪ পুলিশ আহত

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া (কক্সবাজার) :: এবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইয়াবার একটি বড় চালান হাতবদলের সময় তিনজন অজ্ঞাত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের ওসিসহ চারজন পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং দেশে তৈরি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি ও ১৫ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়াস্থ পাহাড়ি এলাকা আমতলী গর্জন বাগানের ভেতর আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে থেমে থেমে প্রায় একঘন্টা ধরে পুলিশের সাথে এই গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে মাদক কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদলের মধ্যে। এ সময় মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীদলের পক্ষে গুলি ছোড়া হয় অন্তত ৩০ রাউন্ড। আর আত্মরক্ষার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে ছোড়া হয় প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি। এ সময় মুহুর্মুহ গুলির শব্দে ওই এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

পুলিশ জানিয়েছেন, ইয়াবার বড় চালান হাতবদলের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে মাদক কারবারি-সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আহত হন চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম, কনষ্টেবল সাজ্জাদ হোসেন ও মো. সবুজ। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় নিহত হন তিনজন ইয়াবা কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তবে তাৎক্ষণিক নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের পরিচয় নিশ্চিতে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌণে দেড়টার দিকে বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা এলাকা থেকে জাহেদা বেগম ও মোজাফ্ফর আহমদ নামের দুইজন মাদক কারবারিকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তথ্য দেয়, একইরাতে বানিয়ারছড়া পাহাড়ি এলাকায় ইয়াবার একটি বড় চালান হাতবদল হবে। সেই চালান এবং মাদক ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশও অভিযান শুরু করে।

অভিযানের সময় আহত চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের সময় অজ্ঞাতনামা তিনজন মাদক কারবারি ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হচ্ছে।’ ##

পাঠকের মতামত: