কক্সবাজারের চকরিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের হারবাং স্টেশনে গতকাল ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী এবং পরাজিত সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপরও চড়াও হয় সংঘর্ষে লিপ্তরা। এ সময় ইটের আঘাতে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তম্মধ্যে পুলিশসহ চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাহেদুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মো. মাসুদ আলম, ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মো. কামরুল আজম, এসআই এনামুল হক ও জামশেদ উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ। দফায় দফায় সংঘর্ষের পর উত্তেজনা দেখা দিলে মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় হারবাং স্টেশনের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুইজনকে আটক করে ব্যাপক পিটুনি দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) দেবাশীষ সরকার, হারবাং দুই নম্বর ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রামের হোছাইন আহমদের ছেলে মোহাম্মদ হাসেম (৩০), তৈয়ব আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), আবদুর রহিমের ছেলে জাহিদ হোসেন (২৫), হারবাং মলিক পাড়ার উত্তম মলিক (২৮)। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটককৃতরা হল হারবাং ইউনিয়নের মধ্যম নুনাছড়ি গ্রামের দিল মোহাম্মদের ছেলে খাইরুল আমিন (২৭) ও গুচ্ছগ্রামের আজিজুল হকের ছেলে মো. আইয়ুব (১৯)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার অনুষ্ঠিত হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে বিজয়ী বাবুল আহমদ ও পরাজিত শাহাদাত হোসেনের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: