নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ার আলোচিত ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের যোগসাজশে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে রমরমা বানিজ্য! এক বছরে ৬৭০% কর বাড়ানোর অভিযোগ উঠছে। ডুলাহাজারা ইউপি সচিব এখানে যোগদানের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি দুর্র্নীতির আখঁড়ায় পরিনত করেছেন। ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে আসা সেবা প্রার্থী জনগণ চেয়ারম্যান ও সচিবের লাগামহীন অনিয়ম আর দূর্নীতিতে অতিষ্ট পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নুরুল হোসাইন বাদশা নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন বাদশা।
ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হাজী শফিকুর রহমানের পূত্র নুরুল হোসাইন বাদশা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের সব কর/ট্যাক্স সঠিক ভাবে পরিশোধ পূর্বক সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩০০ টাকা ট্রেড লাইসেন্স বাবদ কর পরিশোধ করলেও হঠাৎ করে হাসানুল ইসলাম আদর চেয়ারম্যান হওয়ার পর সচিব শহিদুল ইসলামের যোগসাজশে হঠাৎ করে (২০২২-২৩ অর্থ বছরে) তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ফি এক লাফে ৬৭০% বাড়িয়ে ২০০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন, যা আদর্শ কর তফসিল (ইউপি আইন)- ২০১৩ অনুসারে সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদর্শ কর তফসিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যতিত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ফি ৫০০/১০০০ টাকার উপরে নাই বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, ওই চেয়ারম্যান নির্বাচনের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে লোভে বশিভূত হয়ে অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী অতিসত্বর চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও সচিব শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর বলেন, একটি দোকানে দুটো ব্যাবসা, তাই ব্যাবসার ধরণ অনুযায়ী ট্যাক্স নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স ফি অতিরিক্ত নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানি করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: