কক্সবাজারের চকরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু, পাঁচ নারীসহ অন্তত ১২জন কমবেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামে ঘটেছে এ সংঘর্ষের ঘটনা। আহতদের মধ্যে ৬ জনকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিসক মুমুর্ষ অবস্থায় শিশু ও দুই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
চমেকে পাঠানো আহতরা হলেন পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (১৫), তার মা মমতাজ বেগম (৪০), বোন জোবাইদা আক্তার (২০)। উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে মিজানুর রহমানের স্ত্রী সামিনা আক্তার (২৫), আবদুর রহিমের স্ত্রী সাকেরা বেগম (৪০), কালু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে (৪৫)। এছাড়াও অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
চকরিয় হাসপাতালে উপস্থিত বিরোধীয় জায়গার মালিক দাবিদার আবদুর রহিম জানান, তাদের দখলীয় প্রায় ১০ শতক জায়গায় পরিত্যক্ত একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ি মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষ কুতুব উদ্দিন গংয়ের লোকজন নিয়ে সশস্ত্রভাবে হামলা চালায়। এ সময় শিশু ও মহিলাসহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
তবে স্থানীয় জালাল আহমদ দাবি করেছেন, আবদুর রহিম জোর করে কুতুব উদ্দিনের জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে অতর্কিত হামলা চালানোর একপর্যায়ে উভয়পক্ষে আরো বড় ধরণের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা.মোহাম্মদ ছাবের বলেন, আহতদের মধ্যে মুমুর্ষ অবস্থায় শিশু ও নারীসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিরোধীয় জমির দখল নিয়ে দুইপক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের
পাঠকের মতামত: