নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেয়ে দুইজনকে ছুরিকাঘাত করেছে ছিনতাইকারীর দল।
এ সময় ক্ষুদ্ধ হয়ে সংঘবদ্ধ জনতা দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দেয়। এই ঘটনায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপর ছুরিকাহতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, গণপিটুনিতে আহত দুই ছিনতাইকারীকে জনতার সহায়তায় পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার(১১ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনের নতুন পাহাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত দুই ব্যক্তি হলেন সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সুরাজপুর গ্রামের আমির হোসেনের পুত্র আমজাদ হোসেন (২০) ও আবদুল লতিফের পুত্র সোহেল মিয়া (১৮)। তার মধ্যে আমজাদের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবার সূত্র জানিয়েছে গুরুতর আহত আমজাদের পেটে ছুরি ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে, গণপিটুনিতে আহত দুই ছিনতাইকারী হলো চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আবদুর রহমান পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আবু তৈয়ব (২৫) ও চকরিয়ার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পুকুরিয়া খোলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. সাখাওয়াত (১৯)।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পাড়া নতুন পাহাড় এলাকায় দুই জনের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মোটরসাইকেল আরোহী তিন ছিনতাইকারী। এ সময় চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন জড়ো হতে দেখে দুইজনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দুইজনকে ধরে গণপিটুনি দেয় জনগণ। তবে একজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, অপারেশন অফিসার রাজীব কুমার সরকারসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ জনতার সহায়তায় দুই ছিনতাইকারীকে আহত অবস্থায় আটক করে। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত দুইজনের একজনকে চমেক হাসপাতাল, অপরজন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”
পাঠকের মতামত: