নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে কোভিড সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে মাঠপর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম এবং সর্বক্ষেত্রে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণে নানা কর্মসুচি গ্রহণ করেছেন বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংগঠন “ইয়াং পাওয়ার ইন সোসাল এ্যাকশান” ইপসা। সংস্থাটির উদ্যোগে উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবি সামাজিক সংগঠন ও ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাও জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রয়ারী) চকরিয়া উপজেলা পরিষদস্থ আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে ইপসা’র আয়োজনে স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও উদ্ভাস্তুদের মাঝে নগদ অর্থায়ন সহায়তা প্রকল্পের সভায় কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
ইপসার টেকনিক্যাল এডভাইজার শমসের উদ্দিন মোস্তফার সভাপতিত্বে ও উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনী।
এছাড়া সভায় সম্মাণিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মতামতমুলক বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন, চকরিয়া উপজেলা এনজিও সমন্বয়কারী মো. নোমান, আইআরসির সিনিয়র টেকনিক্যাল ম্যানেজার উম্মে হাবিবা, চকরিয়া পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর আন্জুমান আরা বেগম, মহিলা কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াছমিন, সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ মামুনুল ইসলাম,আইসিডিডিআরবির কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চকরিয়া মা-স্বাস্থ্য সেবার ম্যানেজার বিজন বিশ^াস এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক সুধীজন।
সভায় উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমু বলেন, ইতোমধ্যে ইপসার উদ্যোগে উপজেলার পাঁচটি নারী ও কিশোরী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬০০ জনকে কেইস মেনেজম্যান্ট সেবা দিয়েছে। একইভাবে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মাঝে কোভিট ১৯ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণে সচেতনতা বিষয়ক কাউন্সিলিং করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবি সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভাও করেছে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা ও সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারীদের সঙ্গে পুরুষদের সম্পৃক্ততায় মোট ১৮ হাজার ৬০০ জনকে বিভিন্ন সচেতনতামুলক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।
ইপসার টেকনিক্যাল এডভাইজার শমসের উদ্দিন মোস্তফা বলেন, চকরিয়া উপজেলার কোভিড ১৯, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক নারী ও কিশোরী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যম কেইসম্যানেজম্যান্ট সেবা প্রদান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে মানুষের ঘরে ঘরে কোভিড -১৯, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণ বিষয়ে কাউন্সিলিং করা, উপজেলায় প্রকল্প বিষয়ে অবহিতকরণ সভার আয়োজন, কোভিট এর কারণে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি প্রতিরোধে সচেনতা ও সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউপি, পৌরসভা ও উপজেলার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যকর বিষয়ক মিটিং ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইসপা। #
পাঠকের মতামত: