নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়াপাড়া ও পাশের কৈয়ারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ ২ ইউনিয়নের হাজারো মানুষের দাফনের একমাত্র কবরস্থানটি জবরদখল চেষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পাহাড়িয়া পাড়া এলাকার রফিক আহমদের ছেলে সাইনুল ইসলাম নোমান ও মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে তৌহিদুল গং এ দখলচেষ্ঠার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি।
এঘটনার জেরে বর্তমানে ওই এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। আজ ১৩ আগষ্ট জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিরা তাদের একমাত্র কবরস্থান রক্ষার দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিলও মানববন্ধন করেছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসি প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবশ্য জবরদখল চেষ্ঠার ঘটনায় ইতোমধ্যে বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জয়নাল আবেদীন ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোট ভেওলা ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক একসঙ্গে বাদী হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও), চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, চকরিয়া থানা, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে কবরস্থানটি উদ্ধারে আবেদন জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিএমচর ইউনিয়নের পাহাড়িয়া পাড়া ও পাশের কৈয়াবিল ইউনিয়নের ১ওয়ার্ডসহ দুই ইউনিয়নের হাজারো মুসলমানদের শতবছরের মসজিদ কবরস্থানটি মাতামুহুরি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এই অবস্থায় এলাকাবাসি মসজিদ ও এলাকার লোকজনের ব্যবহৃত শতবর্ষী পুকুরটি ভরাট করে এবং এরসঙ্গে নতুন করে ছোট ভেওলা মৌজার বি,এস ৫৭৮১দাগের পূর্বের মালিকদের অবিক্রীত জমি ও তৎসংলগ্ন সামান্য খাস জমিতে নতুন কবরস্থানটি তৈরী করে। এরপর থেকে এলাকাবাসি অর্থ্যাৎ উল্লেখিত ২ ইউনিয়নের বাসিন্দারা লাশ দাফনের জন্য কবরস্থানটি ব্যবহার করে আসছেন।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসির অভিযোগ, সম্প্রতি সময়ে দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে একই এলাকার সাইনুল ইসলাম নোমান ও তৌহিদুল ইসলাম গং কবরস্থানের জমি জোর পূর্বক ঘেড়াবেড়া দিয়ে দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মোঃ এনামুল হক চকরিয়া নিউজকে বলেন, মসজিদের কবরস্থানের জমি উদ্ধারে ইতোমধ্যে দুই ইউনিয়ন পরিষদের দু’জন প্রতিনিধি মিলে যৌথ ভাবে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন।
অপরদিকে অভিযুক্ত সাইনুল ইসলাম নোমান দাবি করেন, ১৯৭৭ সালে তার পরিবারের পুর্বপুরুষরা উল্লেখিত জমি ক্রয় করেছেন। মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাদের (নোমান গংয়ের) ক্রয়কৃত জমি পাশের ভিন্ন দাগে. কবরস্থানের জায়গা এখনো অবিক্রীত। মুলত নোমান ও তৌহিদুল ইসলাম গং দূর্লোভের বশবর্তী হয়ে মিথ্যাচার করছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা আব্দুচ সালাম চকরিয়া নিউজকে বলেন, ভিন্নদাগ থেকে জমি ক্রয় করলেও জবরদখলের কুউদ্দেশ্যে অভিযুক্তরা এলাকার মসজিদের কবরস্থান দখলে মেতে উঠেছে। এব্যাপারে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
পাঠকের মতামত: