ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ওয়ারিশ সনদ নিতে গিয়ে হামলার শিকার, চেয়ারম্যানের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে ওয়ারিশ সনদ নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন এক যুবক। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত যুবক সাজ্জাদ হোসেন বাদি হয়ে সোমবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কক্সবাজারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন বলেন, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান ও সহযোগি হারবাং কালাসিকদার পাড়ার ফরহাদ হোসেনসহ দুইজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিকটিম সাজ্জাদ। আদালত প্রাথমিক শুনানী শেষে পিবিআইকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আহতদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হারবাংয়ের উত্তর নুনাছড়ি এলাকার মৃত ফয়েজ আহমদের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন তাঁর দুই ভাইকে নিয়ে ওয়ারিশ সনদ নিতে ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে চেয়ারম্যান তাঁদের মারধর করেন। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও চিত্র সোমবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

আহত সাজ্জাদ বলেন, ২০১৮ সালে ৪ মে আমার বাবা ফয়েজ আহমদকে সালিশ বৈঠকের নামে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করেন চেয়ারম্যান মিরানুল। এঘটনায় আমার বাবা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে আমার ভাই আবুল হাশেম মামলাটির বাদী হন। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।

আবুল হাশেম বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করার কারনে ২০১৮ সাল থেকে অনেক চেষ্টা করেও আমরা ওয়ারিশ সনদ পাচ্ছি না। গত ১ মার্চ বিষয়টি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানোর পর তিনি ওয়ারিশ সনদ দিতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ওয়ারিশ সনদ না পেয়ে ভুক্তভোগীরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমি বিষয়টি জানতে চেয়ে চেয়ারম্যানকে চিঠিও দিয়েছি। তবে এখনো (সোমবার) চিঠির জবাব দেননি চেয়ারম্যান।

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম বলেন, আমি হামলা করিনি। ভিডিওচিত্র ধারণ করা মুঠোফোনটি ইউএনও স্যার জব্দ করতে বলেছে, তাই ইউপি সচিব তাঁদের কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন জব্দ করেছেন।’

পাঠকের মতামত: