ঢাকা,সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় এক সপ্তাহে ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি, ভোগান্তিতে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের চারটি গ্রাম থেকে গত এক সপ্তাহে পল্লী বিদ্যুতের অন্তত ৫টি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

তারা জানান, খুটাখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ফুলছড়ি গেইট, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু শামা পাড়া, দলাদলি পাড়া ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজখানা সড়কসহ পাঁচস্থান থেকে ট্রান্সফরমারগুলো চুরি হয়।

ট্রান্সফরমার চুরিতে সাধারণ ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি ট্রান্সফরমারের দাম লাখ টাকা। প্রথম দফায় ট্রান্সফরমার চুরি হলে ফের নতুন ট্রান্সফরমার স্থাপনে গ্রাহকদের অর্ধেক টাকা দিতে হয়। দ্বিতীয় দফায় চুরি হলে দিতে হয় পুরো দাম। আর ট্রান্সফরমার পেতে দিনের পর দিন ভোগান্তি তো আছেই।

তবে ট্রান্সফরমারগুলো কারা চুরি করতে পারে-তাদেরকে এমন প্রশ্ন করলে তারা জানান, চুরির সাথে বৈদ্যুতিক কাজে সংশ্লিষ্টরাই জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের সন্দেহ।

এলাকাবাসীর দাবি, যে কারো পক্ষে ট্রান্সফরমার চুরি সম্ভব নয়। কেননা, বিদ্যুৎ কখন যায়-আসে তা কেবল সংশ্লিষ্টরাই জানে। তাই তাদের সন্দেহ অমূলক নয় বলেও দাবি করেন তারা।

জানা যায়, চকরিয়া থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন চকরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের চকরিয়া জোন অফিসের ডিজিএম সাদিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রাহকদের দুর্ভোগ যেন না হয়-সে লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে ওইসব স্থানে ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন করা হবে।

কক্সবাজার জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো: আক্তারুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘ট্রান্সফরমার চুরি ঠেকাতে আমরা অনেক উপায় অবলম্বন করেছি। কোনো পদ্ধতিই তেমন কার্যকর হচ্ছে না।’

তিনি জানালেন, তাদেরই এক প্রকৌশলী এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা ট্রান্সফরমার চুরি করা মাত্রই সাইরেনের মতো বেজে উঠবে। ওই যন্ত্র কিছু স্থানে বসানোর চেষ্টাও চলছে বলে জানান তিনি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওসমান গনি জানান, ট্রান্সফরমার চোর চক্রকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মতামত: