নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজার জেলা ফুটবল দলের অন্যতম খেলোয়াড় মিজবাহ উদ্দিন আরিফের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও তার ভাই হাবিবুল ইসলাম নয়নের বিরুদ্ধে।
আরিফের বাবা মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ফুটবলার আরিফকে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের রাস্তায় ধরে চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর এবং তার ভাই হাবিবুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ব্যাপক মারধর করে। চেয়ারম্যানের পক্ষে নির্বাচন না করার প্রতিশোধ এবং স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। পরে আরিফকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এতে আরিফের চোখ, হাত পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে ডুলাহাজারাসহ জেলার সমস্ত ক্রীড়ামোদি সাধারণ মানুষের মাঝে।
এদিকে ফুটবলার আরিফের ওপর বর্বর হামলার কারণে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরের উপস্থিতিতে সব খেলাধুলা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা খেলোয়াড় সমিতিসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন।
এ ব্যাপারে জেলা খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি ইকবাল মোহাম্মদ শামসুল হুদা টাইডেল বলেন, আরিফের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যানকে আমরা বর্জন ঘোষণা করেছি। তার উপস্থিতিতে কোনো ধরনের খেলাধুলায় অংশ নেবে না কোনো খেলোয়াড়।
এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, ডিএফএ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আলম, সদস্য খালেদ আজম বিপ্লবসহ অনেক কৃতী খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনার বিষয়ে অবগত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
স্থানীয়রা জানান, হাসানুল ইসলাম আদর ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের নাম দিয়ে বালুভর্তি গাড়ি ও অন্যান্য পরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। ইউপি চেয়ারম্যান কোনো নিয়মনীতি মানছে না। তার বেপরোয়া আচরণে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
ওই ঘটনায় আরিফের পিতা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার করেছেন।
চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ফুটবলারকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো ফুটবলারকে মারধর করিনি। একটা জায়গায় জুয়ার আসরের কথা শুনে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ডুলাহাজারায় এক ফুটবলারের ওপর হামলার বিষয়ে এজাহার পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: