ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার মালুমঘাটে রিজার্ভ বনেই বোট তৈরীর কারখানা

মনির আহমদ, কক্সবাজার :: কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের চকরিয়ার মালুমঘাট খৃষ্টান হাসপাতাল সংলগ্ন সংরক্ষিত বনের মাদার ট্রী গর্জন বাগানেই অবৈধ গর্জনের তক্তায় সারিবদ্ধ ভাবে তৈরী করা হচ্ছে বিশালাকারের বাণিজ্যিক ফিসিং বোট।

বোট তৈরীকারক ডুমখালীর আলী আযম বললেন, একেকটি বোট তৈরীতে খরচ পড়ে ১০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা। বিক্রি করে প্রতিটি বোটে লাভ হয় ৫ থেকে ১৫ লাখ টাকা। প্রতি মাসেই  দুই/তিনটি  বোট তৈরী করে বিক্রি হয়। তবে এ টাকা আয় করতে লাইন করে আসতে হয় ডিএফও, রেঞ্জার, বিট কর্মকর্তা ও তাদের নিয়োজিত ক্যাশিয়ারকে। বর্তমান ডিএফও তৌহিদুল ইসলাম তাকে বেশী পছন্দ করেন তাই রেঞ্জার-বিট অফিসার ও তার কথার বাহিরে যায় না। ৩ মাস আগে তিনি ফরেষ্টার, রেঞ্জার সহ ১০-১২ জন সাংবাদিক কে দাওয়াত খাইয়েছেন বোটের কারখানায়। তার মতে ফরেষ্টর হাতে থাকলে বোটের ব্যবসায় ভাল লাভ করা যায়। এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ হোসেন সারিবদ্ধ বোট তৈরীর বিষয়টি জানলেও দাওয়াত খাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়ার মালুমঘাটস্থ ডুলাহাজারা বন রেঞ্জের কোয়ার্টার কিলোমিটারে ডুমখালী আন রেজিষ্ট্রার ভিলেজারদের পাড়া। পাহাড়ের গর্জন গাছ কেটে তৈরী হচ্ছে সারি সারি নির্মানাধীন ফিসিং বোট। সুন্দর পরিবেশ। উপরে মাদারট্রী পাহাড়ের নীচে বোটের কারখানা।

বোট ব্যবসায়ীদের দাবী ডিএফও (বিভায়গী বন কর্মকর্তা) ও রেঞ্জার সহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই বোট তৈরীর ব্যবসা করছেন তারা। এভাবে রয়েছে, বশির মাঝি, সোনা মিয়া মেম্বার, আমিন মেস্তেরী সহ অনেকে এখন বোট তৈরী কারক ও সাপ্লাইয়ার।

পাঠকের মতামত: