ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-মহেশখালী সড়কে ৫ দফা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি

নিউজ ডেস্ক ::

চকরিয়া-বদরখালী সড়ক ও বদরখালী-বাশঁখালী-আনোয়ারা সড়কে পরিবহন শ্রমিকের নামে ও বিভিন্ন ভুয়া সংগঠনের নামে চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন পণ্যবাহী গাড়ির চালকরা। চট্টগ্রাম কিংবা চকরিয়া থেকে মহেশখালী সেতু পার হতে ৫ দফা দিতে চাঁদা। এ সব চাঁদাবাজীতে তিনটি পুলিশ ক্যাম্পও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেপরোয়া চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মহেশখালীগামী পণ্যবাহী গাড়ি চালকরা। সম্প্রতি একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু হওয়ায় পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চাদাঁবাজীর দৌরাত্মও আরো বেড়েছে।
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্যবাহী একটি গাড়ির ড্রাইভার জানিয়েছেন, অবৈধভাবে যারা চাঁদা উঠাচ্ছে এদের টাকা দিলেও তার হিসাব দেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই। যতবার মহেশখালী আসতে হয় ততবারই আমাদের পকেট থেকে এ টাকা চাঁদা হিসাবে দিতে হয়। প্রতিদিন টাকা দিতে দিতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। কাউকে অভিযোগ করলেও প্রতিকার হচ্ছে না।
চট্টগ্রাম থেকে মহেশখালীতে পণ্য সরবরাহকারী গাড়ি চালক ছালামত উল্লাহ জানিয়েছেন, ৩ পুলিশ ফাঁড়িকে ৩শ টাকা ও ভুয়া একটি সংগঠনকে দিতে হয় ১শ টাকা করে। এ টাকা অনেকটা জোরপুর্বক আদায় করা হয়। এছাড়া গাড়িতে করে একটি গরু আনলে দিতে হয় বাড়তি ৫০ টাকা। আবার কালারমারছড়া চালিয়াতলী আসলে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়িকে গরু বাবদ দিতে হয় আবারো ৫০ টাকা। বদরখালী পুলিশ ফাড়ি ও নৌ পুলিশ ফাড়ির চাঁদা না দিয়ে গাড়ি চালানোর কোন সুযোগ নেই।
বদরখালী ফেরীঘাটের ব্যবসায়ি নুরুল আমিন জানিয়েছেন, যারা পরিবহন শ্রমিক নাম দিয়ে টাকা তুলছেন এরা সবাই স্থানীয় সন্ত্রাসি। তাদের কিছু নেতা ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে। তাই এদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করার সাহস করে না। অভিযোগ করলেও কোন সমাধান পায়না। জনৈক মনির উল্লাহ রাজুর নেতৃত্বে প্রতিদিন টাকা উত্তোলন করা হয়।
মনির উল্লাহ রাজু টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে জানান, এই সংগঠন বৈধ কিনা আমরা জানি না। একজন জনপ্রতিনিধির নির্দেশেই আমরা বিভিন্ন ট্রাক থেকে চাঁদা নিচ্ছি। রাতে সব টাকা তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিতে হয়, পরে তিনি আমাদের বেতনের টাকা দেন। রাজু আরো জানান, আমরা শুধু ট্রাক থেকে টাকা নিই। দরবেশ কাটায় নেওয়া হয় পিকআপ ও মিনি ট্রাক থেকে।
বদরখালী পুলিশ ফাড়ির আইসি মোহাম্মদ ইসমাইল জানিয়েছেন, পুলিশ কোন গাড়ি থেকে চাঁদা নেয় না। কেউ নিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: