নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ার বদরখালীতে মহেশখালীতে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । নিহত ওই কিশোরের মরদেহটি ২০আগষ্ট সকালে বাড়ি থেকে তিন কিমি দূরে চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর এক পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানান, শনিবার সকালে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ এক পুকুরে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন নিহত কিশোরের নাম মো. কাইয়ুম এবং সে মহেশখালী উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র বলে শনাক্ত করতে পেরে তার পরিবারের কাছে খবর দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, লাশ উদ্ধার করা ওই পুকুরে হাঁটু পরিমাণ পানিতে হাত বাঁকানো অবস্থায় তার লাশটি পড়েছিল। কাইয়ুমের পরিবারের দাবি, সে সাঁতার জানতো। জন্মের পর মা মারা যাওয়ায় বৃদ্ধ দাদা-দাদী তাকে লালন-পালন করে।
স্থানীয়রা জানায়, কাইয়ুম অনেকটা ভবঘুরের মত স্থানীয় গাড়ির স্টেশনে ঘোরাফেরা করতো। ক্ষুধার তাড়নায় মানুষের কাছে টাকা চাইতো, বিভিন্ন দোকানে খাবার চাইতো, আবার সুযোগ পেলে বিনা অনুমতিতে দোকান থেকে খাবার নিয়ে খেয়ে ফেলত। উদ্দেশ্যহীন ঘুরাফেরা করত বিভিন্ন জায়গায়।
স্থানীয়রা বলছেন, এই শিশুর মৃত্যু রহস্যজনক। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। বাড়ি থেকে প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার দূরে অপর একটি উপজেলায় তার লাশ মিললো। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের প্রতি তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়ে সচেতন মহল বলেন, বদরখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ওইসব ফুটেজ পর্যালোচনা করলে কাইয়ুমের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন হতে পারে।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বদরখালীর একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত ওই শিশুর পিতা জানায় তার সন্তান মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় পুলিশ লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
পাঠকের মতামত: