এম.মনছুর আলম, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান দপ্তরের সার্বিক তত্বাবধানে ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা এলাকায় কাল থেকে শুরু হচ্ছে জনশুমারি কার্যক্রম। দেশব্যাপী একযোগে জনশুমারি ও গৃহগণনা তথ্য সংগ্রহ করা ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত চলবে। দেশে ষষ্ঠ বারের মতো এই জনশুমারী ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু করা হবে। সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্ভুল ও বিশ্বমানের পরিসংখ্যান প্রণয়নে প্রথমবারের মত দেশে “ডিজিটাল জনশুমারি” পরিচালিত হবে। সেই লক্ষে প্রশাসনের পক্ষথেকে ইতিপূর্বে অবহিতকরণ সভাও করা হয়েছে।
জেলা পরিসংখ্যান অফিসের জেলা শুমারি সমন্বয়কারী ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা সুব্রত রঞ্জন হাজরা বলেন, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ে জনশুমারি কার্যক্রমে থাকবে শুমারি সমন্বয়কারী ১জন, জোনাল অফিসার ১১ জন, সুপারভাইজার ১৯২ জন ও গণনাকারী ১০৫৫ জন। এছাড়াও চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় ৯টি ওয়ার্ডে শুমারি সমন্বয়কারী ১জন, জোনাল অফিসার ২জন, সুপারভাইজার ২৪ জন ও গণনাকারী ১৬৭ জন মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে সার্বিক ভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দশ বছর পর্যায়বৃত্তি অনুসরণপূর্বক এই প্রথমবার দেশে “ডিজিটাল জনশুমারি” পরিচালিত হবে। তার ধারাবাহিতায় উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে ও একটি পৌরসভা এলাকায় সারা দেশের ন্যায় ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম শুরু হবে। দেশব্যাপী একযোগে এই জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। চলতি মাসের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন (এক সপ্তাহ) পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় জনশুমারি পরিচালনা করবে পরিসংখ্যান দপ্তর।
তিনি আরও বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম বিষয়ে জনগণকে সচেতনতার লক্ষে প্রশাসনের পক্ষথেকে মাইকিং মাধ্যমে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও মসজিদ, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়। বিশেষ করে জনশুমারি গণনাকালে কোন অবস্থাতে কোন ধরণের রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে যেন অন্তভুক্ত না করে সেই ব্যাপারে দায়িত্বরত মাঠ পর্যায়ের সকল ব্যাক্তিকে সজাগ থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: