ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবী

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nমিজবাউল হক, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে অপসারণের দাবী জানিয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। গতকাল ১০ মে বিকেলে চিরিঙ্গা সিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেছেন। দূর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তাকে জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করে অভিযোগের সুষ্টু তদন্ত করা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেছেন. উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এখানে কর্মরত আছেন। এ সময়ে তিনি ঘোষ, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনৈতিক কান্ডে জড়িয়ে পড়েন। তিনি চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সিশনে (স্থিরীকরণ)’র উপর প্রাপ্য টাকা থেকে চৌধুরী মোরশেদ আলম সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ৬ লাখ টাকা কেটে রেখে দিয়েছেন। যাদের প্রাপ্য ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে কেটে রেখেছেন ৩২ হাজার টাকা করে। যাদের প্রাপ্য ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা করে কেটে রেখেছেন। ইনপ্লানন এর ফলোআপের টাকা ইনপ্লানন গ্রহনকারীদের না দিয়ে অফিসের পিয়ন দিয়ে ভূয়া টিপসহি প্রদান করে প্রায় ২০লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম বলেন; এমন কোন আর্থিক খাত নেই যেখান থেকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম টাকা আত্মসাত করেন নাই। চৌধুরী মোরশেদ আলম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় সিলেকশন গ্রেড, টাইম স্কেল ও ফিক্সিশনের উপর প্রাপ্য টাকা থেকে প্রায় ২৬লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চকরিয়ার ৭৭ জন বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা কর্মচারী এ বিভাগের মহা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু চৌধুরী মোরশেদ আলম বর্তমানে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে, হয়রানি করছে। যার কারণে তাকে এই এলাকা থেকে অপসারণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্টু তদন্ত করা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করবেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার হাবিলদার মোহাম্মদ উল্লাহ, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন কমান্ডার আমির হামজা প্রমুখ। এ ব্যাপারে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোরশেদ আলম জানান; তিনি কোন দূর্নীতির সাথে যুক্ত নেই। তিনি কাউকে হুমকি বা হয়রানি করছে না বলেও দাবী করেছেন। ##

পাঠকের মতামত: