এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা জাফর আলম সিকদারের নামাজে জানাযা ২৮ জুলাই বেলা ২টায় হাছিমারকাটা মসজিদ মাঠে অনুষ্টিত হয়। এতে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেন। পরে তাকে স্থানীয় মসজিদ কবরে সমাহিত করা হয়েছে।
অনুষ্টিত জানাজার নামাজে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দিন আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের, চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কি ইকবাল, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান হানু ছাড়াও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও আত্বীয় স্বজন শুভাকাংখিগন অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা জাফর আলম সিকদারের জানাজার নামাজে এমপি জাফর আলম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য দেন। এ সময় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে এমপি জাফর আলম প্রবল বর্ষণ ও মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এমপি জাফর আলম বন্যাকবলিত পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন এবং পানিবন্দি মানুষের সহায়তায় তাৎক্ষণিক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
তিনি দুপুরে পরিদর্শনে যান চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দিগরপানখালী গ্রামে মাতামুহুরী নদীতীরের ভাঙনের কবলে পড়া বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে। এ সময় তিনি সার্বিক খোঁজ-খবর নেন তাঁর অর্থায়নে নির্মিত দিগরপানখালীস্থ কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রপাল মন্দিরের বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণ প্রকল্পের কাজের। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন পানিতে ডুবে থাকা মন্দিরের মাঠটি তাঁর অর্থায়নে ভরাট করে দেওয়ার।
এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী জানান, চকরিয়া ও পেকুয়ার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়নের জন্য ৭২টন, চকরিয়া পৌরসভার জন্য ১০ টন এবং পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের ২৮ টন জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা সঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে যাতে বিতরণ করা হয় সেজন্য সার্বক্ষণিক তদারকিও করছেন এমপি জাফর আলম।
পাঠকের মতামত: