ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

গর্জনিয়ায় থামছেনা অপহরণ বানিজ্য: ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণে দু’সহোদর মুক্ত

মোঃ জয়নালা আবেদীন টুক্কু,নাইক্ষ্যংছড়ি :
অবশেষে রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়ার নজুমাতাব্বর পাড়া থেকে অপহৃত দু’ সহোদরকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। অপহরণের একদিনের মাথায় দরকষাকষির পর পরিশেষে সোমবার বিকেল ৫ টায় এদেরকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তি দেয় অপহরণকারীরা। অপহৃতরা জানান, তাদেরকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলগর্জনিয়া মৌজার হাতিমারা নামক এলাকা থেকে ছাড়া পায় তারা । এর আগে এদেরকে চোখ বেধে রাখা হয় একই মৌজার ডলুরঝিরি ও নারাইম্মার ঝিরি পাহাড়ের ঢালুতে জঙ্গলে ঝোঁপঝাড় ঢেকে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানান, রোববার গহীনরাতে মূখোশপরা স্বশস্ত্র ডাকাত দলটি ডাকাতির পর দু সহোদর যথাক্রমে মো: রিদুয়ান ও শহীদুল্লাহকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর তাদের পিতা আমির হোসেন ও মাতা খদিজা বেগম ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু দু’পুত্র সন্তানকে ডাকাতদলের কবল থেকে মুক্ত করতে মরিয়া হয়ে সব চেষ্টা চালায় তারা।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানায়,অপহরণের পর একদিকে পুলিশ অপর দিকে স্থানীয় লোকজনের উদ্ধার চেষ্টা চালাতে থাকে প্রাণপণ। এতে অপহরণকারীদের শর্ত ছিল পুলিশ বা র‌্যাব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করা হবে তদেরকে। এ জন্যে ডাকাতির সময় লুট করা দেড় লাখ টাকার ছাড়াও ডাকাতের দাবীর মূখে আরো ৩ লাখ টাকা দিয়ে এদের উদ্ধার করা হয়। তারা বর্তমানে অসুস্থ।
এদিকে বিগত ৫ বছর ধরে বিরতি দিয়ে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন এবং পাশার্বর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী-বাকঁখালী এলাকায় নিয়মিত অপহরণ বানিজ্য চলে আসছিল। এমনতি এ ধরণের ঘটনায় শিশু হাসান-হোছাইন নামের দুৎসহোদরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ অনাদায়ে হত্যা করা হয়। এভাবে অনেক নাটকের জন্ম দেয় এ ডাকাত দল। মাত্র ২০ বর্গকলোমিটারের এলাকায় এসব ঘটনা বন্ধ করতে এবং জড়িতদের ্আটকে চেষ্টা করা হলেও সুফল পাওয়া যায় নি মোটেও। ডাকাতদলের গড়ফাদার সকলের সাথে ভারসম্য রক্ষা করে দিনের পর দিন ডাকাতি ও অপহরণবানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দিব্ব্যি। যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত গত রোববার রিদুয়ান ও শহীদুল্লাহ অপহরণ বানিজ্য।

পাঠকের মতামত: