করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন এমন রোগীদের চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি চরমে পৌঁছার পর, টনক নড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। হুঁশিয়ারি দিয়েছে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ফিরিয়ে দিলে লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যদিও সরকারি হাসপাতালগুলোর বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অথচ সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ফেরত ও ভোগান্তির ঘটনা বেশি ঘটছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি ও ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. এম এ মুবিন খান বলেন, লাইসেন্স বাতিল করে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়।
এদিকে সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ডায়ালাইসিসসহ চিকিৎসা গ্রহণ করে রোগীরা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ সকল রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার বিষয়ে বিভিন্ন সময় মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত একাধিক সভার মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে একাধিকবার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে বারবার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহের সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য নিম্নোক্ত নির্দেশনা জারি করা হলো-
১. বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিকসমূহে সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
২. চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসার জন্য আগত কোনো রোগীকে ফেরত দেয়া যাবে না। রেফার করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে রোগীর চিকিৎসার বিষয়টি সুনিশ্চিত করে রেফার করতে হবে।
৩. দীর্ঘদিন ধরে যেসকল রোগী কিডনি ডায়ালাইসিসসহ বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করছেন তারা করোনা আক্রান্ত না হয়ে থাকলে তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে হবে।
পাঠকের মতামত: