ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

কাঠগড়ায় প্রদীপের ফোনালাপের ছবি ভাইরাল, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :: বরখাস্ত প্রদীপ আদালতের কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যদের নাম না জানালেও এদের মধ্যে আদালত পুলিশের একজন এটিএসআই এবং দুইজন কনস্টেবল রয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে জেলা পুলিশ কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।

ওই সময়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন অ্যাসিসটেন্ট টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) সাহাব উদ্দীন, কনস্টেবল সালাম ও কনস্টেবল কাদের।
যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে, সেটির কে তুলেছে, কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, বা ছবিটি আদৌ ওসি প্রদীপের কিনা-তা এখনও কোন দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেনি।

ধারনা করা হচ্ছে, ২৩ আগস্ট সোমবার আদালতের কাঠগড়ায় মুঠোফোনে কথা বলেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি ও আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে। সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এ সময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন প্রদীপসহ মামলার ১৫ জন আসামি। প্রদীপের পরনে ছিল কালো রঙের জামা। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে তাকে কালো রঙের জামা পরে থাকতে দেখা যায়।

তবে আজ মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন প্রদীপ আদালতে আসেন গোলাপী রঙের জামা পরে। এ সময় তাকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। আগের দিন সাক্ষ্য গ্রহণের কোনো এক ফাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় বসে প্রদীপ মুঠোফোনে কথা বলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছড়িয়ে পড়া ছবিটির বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ‘ ওসি প্রদীপ কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অনুসন্ধান করা জরুরি বলে মনে করেন এই আইনজীবী।

বিচার বিভাগীয় বাতায়নের দেওয়া আদালতের আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ‘আদালত চলাকালে বিচার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাইরের লোকজনের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও আদালতে ভেতরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে মুঠোফোন বন্ধ রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।’

পাঠকের মতামত: