এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: মহামারি করোনার কারণে টানা প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় চীনে কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কাঁকড়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত জেলার ১০হাজার পরিবার। রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋণের চাপ আর পরিবার পরিজন নিয়ে রীতিমত তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
এ অবস্থায় মন্ত্রানালয়ের প্রশাসনিক জটিলতা দ্রুত নিরসনের মাধ্যমে আবারও চীনে কাঁকড়া রপ্তানি চালু করার দাবিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরের মহাসড়কে মানববন্ধন করেছে কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও চাষীরা। শনিবার ১৯সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে চকরিয়া কাঁকড়া উৎপাদন সরবরাহকারী বহুমূখী সমবায় সমিতির আয়োজনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙারমুখ এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসুচিতে অংশনেন চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, দরবেশকাটা, চোয়ারফাঁিড়, রামপুর, মাছঘাট, চরনদ্বীপ, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, মালুমঘাট, পেকুয়া এবং চকরিয়া পৌরসভা এলাকার হাজারো কাঁকড়া ব্যবসায়ী ও চাষীরা। এসময় মানবন্ধন কর্মসুচিটি মহাসড়কে উঠে গেলে প্রায় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ হয়ে পড়ে। এতে সড়কের দুইপাশের যানবাহন সমুহ গন্তব্যে যেতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। অবশ্য ১২টার দিকে মানববন্ধন কর্মসুচি শেষ হলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ কাঁকড়া সরবরাহকারী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ¦ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক পটল বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, চকরিয়া উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল হোসেন, চকরিয়া কাঁকড়া সমিতির উপদেষ্ঠা ইসমাঈল সওদাগর, জামাল হোসেন, শশাঙ্ক বড়ুয়া, চকরিয়া কাঁকড়া ব্যবসায়ী সরবরাহকারী সমিতির সহসভাপতি সৈয়দ আলম, অর্থ সম্পাদক শফিকুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ এরশাদ, মো. মকছুদ, জাকের আহমদ, চকরিয়া কাঁকড়া ব্যবসায়ী সরবরাহকারী সমিতির সাবেক সম্পাদক প্রভাত কুমার বড়ুয়া, কাজল হোছাইন, সারনাথ বড়ুয়া, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কক্সবাজার জেলা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া চীনে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। বর্তমানে মহামারি করোনার কারণে টানা প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় চীনে কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে করে একদিকে যেমন সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়েছে কাঁকড়া শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত জেলার ১০হাজার পরিবার। রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋণের চাপ আর পরিবার পরিজন নিয়ে রীতিমত তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে প্রণোদনা ও সুদমুক্ত ঋণ পাওয়ার দাবি করেন। এ সময় কাঁকড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও খামারিদের জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক করতে অবিলম্বে চীনে কাঁকড়া রপ্তানি কার্যক্রম চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কাঁকড়া ব্যবসায়ীরা চাষের জন্য সরকারী খাস জমির বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবসায়ীরা দাবি তুলেন তারা।##
পাঠকের মতামত: