শাহেদ মিজান, কক্সবাজার :: দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম। এর মধ্যে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৮৪ হাজার টিকা। দুই-একদিনের মধ্যে বরাদ্দ হোয়য়া টিকা কক্সবাজারে আসছে।
আজ শনিবার (৩০ জানুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, দুই এক দিনের মধ্যে বরাদ্দকৃত ৮৪ হাজার টিকা চলে আসছে। ১৫ টা ক্যাটাগরিতে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এসব টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে দেয়া হবে। তবে প্রথমে স্বাস্থ্য কর্মীদের গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি পর্যায়েক্রমে সবাই এ টিকা দেয়া হবে। পরে সবাই টিকা পাবে।
তিনি আরো জানান, করোনা নিয়ে মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। যার কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তবে সবাইকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। অবহেলা করলে আবারও সংক্রমণ বৃদ্ধির সংখ্যা রয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে মোট করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮২৭৯৪ জনের। পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৫৮৪২ জন। তারমধ্যে রোহিঙ্গা ছিল ৩৮৬ জন। মারা গেছে ৮৩ জন। তারমধ্যে রোহিঙ্গা ১০ জন মারা গেছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৮৮ জন।
সর্বশেষ শুক্রবার ২৯ জানুয়ারী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৩৫২ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে ৫ জনের রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। এরমধ্যে কক্সবাজার জেলায় ২ জন , রোহিঙ্গা ৩ জন। জেলায় করোনা ‘পজেটিভ’ রিপোর্ট পাওয়া ২ জন রোগী মহেশখালী উপজেলার।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কোভিড১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নির্দেশনায় কক্সবাজার স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জেলা সদর সদর হাসপাতাল ও নতুনভাবে স্থাপিত ফ্রেন্ডশীপ আইসোলেশন সেন্টারসহ ৮ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্তদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ৩৭৬টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। তারমধ্যে আইসিইউ ১০টি ও এইচডিইউ বেড রয়েছে ৮টি। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে ১৩৭২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৯০টি পালস অক্সিমিটার, ১৮৪টি অক্সিজেন ফ্লোমিটার, ২৮৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ২১টি হাইফ্লো নেসাল ক্যানুলা ও ২০টি ভেন্টিলেটর রয়েছে। সদর হাসপাতাল ও রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু আছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট। বাকিগুলোতে স্থাপন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাছাড়া দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু পর থেকে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মাস্ক এবং সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বৃদ্ধি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোভিড১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধেও স্বাস্থ্যকর্মীরা জনসচেতনতা তৈরিতে কাজ করছেন।
পাঠকের মতামত: