নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার অভিযোগ উঠছে। রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ায় সংক্রামণ বাড়ছে বলে মনে করছে কক্সবাজারের সচেতন মহল।
অভিযোগ পাওয়া গেছে অনেকেই করোনা পরীক্ষা দেয়ার পর রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে ৮ থেকে ১০ দিন। এই সময়ে সচেতনতার অভাবে ব্যাপক মেলামেশার কারণে কক্সবাজারে করোনা সংক্রামণের হার বেড়েই চলেছে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কক্সবাজার ল্যাবে বান্দারবান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় মানুষের নমুনা রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে দুই শিফটে করোনার নমুনা পরীক্ষা চালু করা হয়েছে।
এদিকে শহরের রুমালিয়ারছড়ায় ভাড়া থাকা ওষুধ কোম্পানির গাড়ি চালক জহির উদ্দিন বলেন, আমি করোনা পজিটিভ। আমি ২৮ মে রিপোর্ট পেয়েছি। তার অভিযোগ, নমুনা দেয়ার ৯ দিন পর রিপোর্ট তিনি পেয়েছেন। এর মধ্যে ফার্মেসি থেকে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন।
ঘোনারপাড়ার মোস্তাক আহামদ বলেন, ১৭ মে নমুনা দিয়েছি রিপোর্ট পেয়েছি ৮ দিন পর। তারমধ্যে আমি দোকান করেছি, ব্যবসা করেছি। কারণ আমি মনে করেছি রিপোর্টে কোনও সমস্যা নেই। তাই আমাকে কেউ জানায়নি।
৭ জুন করোনা পজিটিভ হয়েছেন শহরের ম্যালেরিয়া অফিস রোডে ফরিদুল আলম। তিনি নমুনা দেয়ার ৭ দিন পরে পজিটিভ রিপোর্ট পেয়েছে। এর আগে তিনি বাইরে যথেষ্ট ঘুরাঘুরি করেছেন বলে জানান।
অন্যদিকে শহরের গাড়ির মাঠ এলাকার শ্রমিক নেতা গুরা মিয়া জানান, তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে ৯ দিন ধরে তার বাসায় রয়েছেন। নানা জটিলতার কারণে এখনো পরীক্ষা করাতে পারেননি তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগত করেও কোনও সুরাহা পাননি। অন্যদিকে তার পরিবারের সদস্যরা বেপরোয়া চলাফেরা করায় স্থানীয়রা চরম আতংকে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, মূলত প্রথম দিকে ৫০ থেকে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা হতো তখন নমুনা আসতো কম। এখন পরীক্ষা হয় প্রায় ৩০০ জনের। নমুনা আসে প্রায় ৫০০ জনের। তাই সিরিয়াল ঠিক রাখতে গিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে। তবে এটাও ঠিক মানুষ সচেতনতার অভাবে সংক্রামণ বাড়ছে। তবে ইতোমধ্যে দুই শিফটে পরীক্ষা চালু হয়েছে। আশা করছি এখন আগের চেয়ে দ্রুত সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
পাঠকের মতামত: