মো: সাইফুল ইসলাম খোকন ::::::
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু’পার্শ্বে বেড়ে উঠা সবুজ লতাপাতায় ঘেরা বৃক্ষরাজী থাকার সুযোগে রাতের আধারে কিছু সুযোগ সন্ধানী ডাকাতরা সুযোগ নিচ্ছে। প্রতিদিন সড়কের কোন না কোন স্থানে ঘটছে ছিনতাই কিংবা ডাকাতি। এতে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে পর্যটন শহর কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিদেশী গামী ও ফেরত যাত্রীরা। এমনকি সুযোগ বুঝে লাশ বহনকারী গাড়িগুলো তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়না। এসব আগাছা গুলো নিধন করার কোন উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের না থাকার কারনে প্রতিনিয়ত সুযোগ সন্ধানী ডাকাত কবলে পড়তে হচ্ছে অনেককে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে প্রতিনিয়ত গাড়ি চালক আবদুল কাদের, রহিম, নুরুল আলমসহ বেশ কজন গাড়ি চালক বলেন, মহাসড়কের এমন কিছু জায়গা রয়েছে ডাকাতদলদের জন্য নিরাপদ স্থান রয়েছে। এসব স্থানে দু’পার্শ্বে বেড়ে উঠা সবুজ লতাপাতায় ঘেরা বৃক্ষের নিচে লুকিয়ে থাকে তারা। একটি কিংবা দু’টি গাড়ি দেখলে আগে থেকে ভারী কিছু দিয়ে গাড়ির নিচ দিয়ে বা কোন সাইড়ে আক্রমণ করে। এসমন সময় গাড়ি চালক মনে করেন, গড়ি চলাকালে কোন না কোন যন্ত্র ভেঙ্গে গেছে। তখন গাড়ি চালক গাড়ি থামালে দু’পাশ দিয়ে চলে আসে উৎপেতে থাকা ডাকাত কিংবা ছিনতাইকারীর সদস্যরা।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের কেরানী হাট পার হয়ে উত্তর পার্শ্বে স্কেল লেখা স্থানের পর ও কক্সবাজারের খুটাখালী, পানিরছড়া, ধলির ছড়া, উত্তর হারবাং লাল ব্রিজের দক্ষিণসহ বেশ কটি স্থান। তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে সড়কের দু’ পার্শ্বে বেড়ে উঠা লতাপাড়া ও ছোট ছোট বৃক্ষ গুলো নিধন করা হলে রাতে গাড়ির আলোতে ডাকাতদের অবস্থান উপলদ্ধিকরা যায় কোন রকমে। গতকাল চকরিয়া উপজেলার এক সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মানিক জানায়, তিনি নিজের একটি কার গাড়ি চালিয়ে মোট ৫ সদস্য মিলে সম্প্রতি সময়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে চকরিয়ায় আসছিল। তখন রাত সাড়ে ১১ টা মত হবে। কেরানী হাটের এক কিলোমিটার আগে উৎপেতে থাকা ডাকাত দলের কবলে পড়ে সকলে সর্বস্ব দিয়ে জাননিয়ে কোন রকম ছাড়া পায়। এ ধরণের অভিয়োগ আসছে প্রতিদিন কোন না কোন স্থান থেকে।
ঈদগাও এলাকার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন জানান, সড়কে পুলিশ থাকলেও ডাকাত কবলিত এলাকায় খুব কম থাকে। ঘটনার পর তারা কিন্তু হাজির হতে সময় নেয় না। কিন্তু পুলিশের সম্মান নিয়ে সমালোচনা হওয়ার ভয়ে এসব ডাকাতি কিংবা ছিনতাইকারীর ঘটনা তারা আমলে নেয় না। সড়কে সর্বস্ব হারানোদের কান্না দিনদিন ভারী হচ্ছে। সচেতন মহল দ্রুত মহাড়কের দু’ পার্শ্বে বেড়ে উঠা আগাছা গুলো দ্রুত নিধন ও সড়কের দু’ পাশ পরিস্কার রাখার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে। ##
পাঠকের মতামত: