মার্কিন মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক যৌনতা সম্পর্কিত কাহিনী বেরিয়ে আসছে। শুক্রবারের অডিও-ভিডিওর পর শনিবার প্রকাশিত হয়েছে একটি দীর্ঘ অডিও। তাতে তিনি রেডিও জকি হাওয়ার্ড স্টার্নের সঙ্গে নিজের যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্বীকার করেছেন ১৪ বছর বয়সেই নিজে কুমারত্ব হারিয়েছেন। এছাড়া আলোচনা করেছেন নিজের মেয়ে ইভানকার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ নিয়ে। স্টার্নের সঙ্গে আলোচনা করেছেন কোন নারীর ঋতুস্রাব চলাকালীন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে। এসবই এখন ওপেন সিক্রেট। ১৯৯৭ সালে স্টার্নকে একটি সাক্ষাতকার দেন ট্রাম্প। অনলাইন সিএনএন লিখেছে, তাতে ট্রাম্প স্বীকার করেন তিনি ১৪ বছর বয়সে কুমারত্ব হারিয়েছেন। সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ওই নারী ছিল একজন যুবতী। সে ছিল প্রকৃতপক্ষেই সুন্দরী। ওই ছোট্ট হট মেয়েটি হয়তো হাই স্কুল বা গ্রামার স্কুল বা ওই রকম কোন স্কুলে পড়াশোনা করতো। তবে সে ছিল হট। তাকে আর দেখিনি। আমি তাকে আর দেখি নি।
স্টার্নের সঙ্গে রেডিও প্রোগ্রামে ট্রাম্প মাঝে মাঝেই নিজের ব্যক্তিগত যৌন জীবন নিয়ে আলোচনা করতেন। ১৯৯৭ সালের এক প্রোগ্রামে ট্রাম্পের কাছে স্টার্ন জানতে চানÑ কোন নারীর ঋতু (পিরিয়ড) চলাকালীন তার সঙ্গে আপনি কি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান? বলে যান।
স্টার্নের এ প্রশ্ন শুনে তাদের সামনে উপস্থিত ‘আর্ট অব কামব্যাক’ বইয়ের সহ-লেখিকা, ফেলো গেস্ট কেট বোহনারের দিকে তাকিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি সে (স্টার্ন) কেটের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই সে এ কথা বলেছে।
স্টার্ন বলেন, ডনাল্ড সিরিয়াসলি আপনি তা করবেন না। আমি কি ঠিক?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ভাল কথা। আমি সেখানে থাকবো। হাওয়ার্ড আমি সেখানে থাকবো। যেমনটা আমরা সবাই থেকেছি।
স্টার্ন জানতে চান, আপনি এটা পছন্দ করেন না?
ট্রাম্প বলেন, কখনো কখনো এমন অবস্থায় তুমি ভুল করে চলেও যেতে পার।
একই সাক্ষাতকারে স্টার্ন জানতে চানÑ আপনি কি কখনো কোন কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে শয্যাসঙ্গী করেছেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, এটা নির্ভর করে ব্লাক বা কালো বলতে আপনি কি বুঝাচ্ছেন।
স্টার্ন বলেন, মজার তো। এই আলোচনা আমার ভাল লাগছে। তার বিছানা তো একটি রঙধনু।
ট্রাম্প বলেন, রেভারেন্ড জেসে যেটাকে বলতেন দ্য রেইনবো কোয়ালিশন।
২০০৮ সালের একটি সাক্ষাতকারে রেডিওর সহ-উপস্থাপক আরতি ল্যাং ট্রাম্পের কাছে প্রশ্ন করেন তিনি কি কখনো একসঙ্গে বহু নারীর সঙ্গ ভোগ করেছেন। এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ট্রাম্প স্বীকার করেন স্ত্রী মেলানি ট্রাম্পের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক। এ ছাড়া তিনি একসঙ্গে তিনজন নারীর সঙ্গ ভোগ করেছেন। তবে সব মিলে তাদের ওজন হবে ৩৭৫ পাউন্ড।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি বলি নি যে তারা ৩০০ পাউন্ড। আমি বলেছি তাদের ওজন ৩৭৫ পাউন্ড। তাদের প্রতিজন ১০০ পাউন্ড ছিল না। প্রত্যেকে ছিল১২৫ পাউন্ড।তিনজন নারীর সঙ্গ ভোগের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা সবাই কি এমন সঙ্গ ভোগ করি নি। আমরা কি শিশু?
………………………………………….
‘নারীর উপযুক্ত বয়স হলো ৩০ বছর’
অনলাইন ডেস্ক ::::
নারীদের প্রতি ডনাল্ড ট্রাম্পের যৌন লালসার নতুন নতুন সব তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। গত শুক্রবার ২০০৫ সালের একটি অডিও-ভিডিও প্রকাশের পর তাকে নিয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থিতা নিয়ে তীব্র আলোচনা। ঝড় চলছে রাজনীতিতে। এরই মধ্যে আরও কিছু অডিও প্রকাশ হয়েছে শনিবার। তাতে তিনি নিজের মেয়ে ইভানকার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ ও তার আকৃতি নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা করেন নি। বলেছেন, ইভানকা খুব সুন্দরী। আবেশ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি রেডিও জকি হাওয়ার্ড স্টার্নকে দেয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে তার নারীর প্রতি আকর্ষণের আরও কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে একজন নারীর সঙ্গ কোন বয়সের পর ছেড়ে দেয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, যুবতীদের সঙ্গে ডেটিং করা উচিত। ২০০২ সালে ধারণ করা ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নারীদের পারফেক্ট বয়স হলো ৩০ বছর।
এ সময় একজন সহ-উপস্থাপক কথার ফোঁড়ন কাটেন। বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ওই নারীর বয়স ৩৫ বছর না হয়।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ৩৫ বছর বয়স কি? এটাকে বলা হয় ছেড়ে দেয়ার সময়।
২০০৬ সালে স্টার্ন আরেকটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি মনে করেন এখন ২৪ বছর বয়সীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়তে পারবেন?
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ওহ, অবশ্যই।
আপনি কি এটা করবেন?
ট্রাম্পের জবাব, আমার এতে কোন সমস্যা নেই।
এ সময় ট্রাম্পের কাছে স্টার্ন জানতে চান, তার কাছে কি কোন বয়সসীমা আছে কিনা।
ট্রাম্প বলেন, না। আমার কোনো বয়স নেই। আমি বলতে চাই আমার কাছে কোনো বয়সসীমা নেই। আমি কংগ্রেসম্যান ফোলি হতে চাই না। তিনি ১২ বছর বয়সীদের সঙ্গে এসব করেছেন আপনি জানেন।
উল্লেখ্য, মার্ক ফোলি সমকামিতার অভিযোগে অভিযুক্ত। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে এ কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি টিনেজ ছেলেদের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হন। এ অভিযোগে কংগ্রেস থেকে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
পাঠকের মতামত: