নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল মনোনীত কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তাঁদের প্রার্থিতা আমরা রাখব না। বিকল্প প্রার্থী দেব।’ তিনি গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন।
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত ব্রেক করা মানেই হলো দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা। এর একটা শাস্তি তো রয়েছে। পরবর্তী মিটিংয়ে শাস্তিটা কী হবে এটা নির্ধারণ হবে।’
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের শাস্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের কার্যানির্বাহী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলেছি। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল একেবারেই কম। এগুলো নিয়ে এত দিন আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। যাঁরা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নিতে শুরু করব। নেত্রী (শেখ হাসিনা) দেশে ফিরে এলে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করব।’
একাদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কতজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সো ফার আমরা দুইজন বিদ্রোহী প্রার্থী পেয়েছি। নেত্রী এলেই আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: