ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের পাশে সব সময় দাঁড়িয়েছে ভারত। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণসহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের পর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেসামরিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতসহ ২২টি চুক্তি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ বাড়িয়েছে ভারত।
হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমরা বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ ঘোষণা করছি।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতের জন্য আরো ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ ঘোষণা করেছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের এবং বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন নতুন বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় ভারত। বিশেষ করে উচ্চ প্রযুক্তি খাত; যেমন- সাইবার নিরাপত্তা, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিতা বাড়াবে তার দেশ।
তিনি বলেন, দুই দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করবে উভয় দেশ। শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার মেয়াদেই বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদি।
একই সঙ্গে তিনি অভিন্ন নদীর পানির সুষ্ঠু বণ্টনের কথাও জানান। সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতিরও প্রশংসা করেন তিনি। হায়দরাবাদ হাউসের ডেকান স্যুটে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের আগে শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়া হয় শেখ হাসিনাকে। ভারতের তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পাঠকের মতামত: