বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি স্থায়ী ব্যবস্থা প্রণয়ন করা বাঞ্ছনীয়। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন। জেলা জজের পদমর্যাদা সম্পন্ন, ন্যূনতম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার সম্পন্ন, সিনিয়র আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন। পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটিতে থাকবেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত সচিব,বিশ্ববিদ্যায়লের সাবেক অধ্যাপক,দক্ষ যোগ্য নারী।’
শুক্রবার বিকালে গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের বলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে বৈঠক করতে হবে। বিতর্কিত এমন কেউ সিইসি পদে থাকতে পারবেন না। দুই রাজনৈতিক জোটের দুই মূল প্রতিনিধি,সহায়তাকারী আরও দুজন প্রতিনিধি বৈঠকে থাকবেন। নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাছাই কমিটি হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন,‘গত বছরে স্থানীয় সরকারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। জনগণ পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন চায়। তারা চায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচন। এমন একটি নির্বাচন যেখানে তারা সংবিধান সম্মতভাবে মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইসির মেয়াদ শেষ হবে। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চারজন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন। জেলা জজের পদমর্যাদা সম্পন্ন, ন্যূনতম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার সম্পন্ন, সিনিয়র আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, লে জে (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, জমির উদ্দিন মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ড. এ জেম এম জাহিদ হোসেন, আহমদ আজম খান।
এছাড়াও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মোস্তাহিদুর রহমান, ২০ দলীয় জোটের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব) ওলি আহমদ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাপর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জে (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানী, এনডিপির চেয়ারম্যার খোন্দকার গোলম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কোনও প্রতিনিধি আসেননি বলে জানান শায়রুল কবির খান।
পাঠকের মতামত: