ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ইসলামাবাদে মহাসড়কে বালির স্তুপঃ দুর্ঘটনার আশংকা

ঈদগাঁও প্রতিনিধি  ::  চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সদরের ঈদগাঁও বাসষ্টেশন সংলঘ্ন ব্রিজের উত্তর পাশে ইসলামাবাদ পয়েন্টে মহাসড়কের দু’পার্শ্বে একাধিক স্থানে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালির স্তুপ করে রাখায় যেকোন মহুর্তে দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। এতে আহতসহ প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়ছে ছোটকাটো গাড়ি, পথচারি ও যাত্রী সাধারণ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি অভিযান জরুরী মনে করেন ভূক্তভুগীরা। ফের বালি স্তুপ করে রাখায় জনমনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সরেজমিন ইসলামাবাদের একাধিক স্থানে ঘুরে দেখা যায়, সদরের ইসলামাবাদ আরকান সড়কের উত্তর খোদাইবাড়ী ওয়াহেদর পাড়া, আউলিয়াবাদ,শাহ ফকির বাজারে ঈদগাঁও নদীসহ বিভিন্ন নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলন করে থাকে এক শ্রেণীর বালি সিন্ডিকেট। ওই বালি তারা সহজে বিক্রি ও পরিবহনের সুবিধার্থে মহাসড়কের উল্লেখিত স্থানের দু’পার্শ্বে এনে অবৈধভাবে স্তুপ করে রাখে। ফলে চলাচলকারী যানবাহনগুলো সড়কের পার্শ্বে সাইড দিতে গিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। তাছাড়া পথচারী স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাঁটা-চলা করতে হয়। দেখা গেছে, বাশস্টেশনের উত্তর পাশে সড়কের একাধিক স্থানে সড়কের দু’পার্শ্বে অবৈধভাবে বালি স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ফলে পার্শ্বে জায়গা না থাকায় পথচারীদের মূল সড়কের উপর দিয়ে হাঁটা-চলা করতে হয়। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনার আশংকা করছে বলে জানান স্থানীয়রা। জানাগেছে, খোদাইবাড়ী এলাকার কয়েক ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত একটি বালি সিন্ডিকেট সড়কের দু’পার্শ্বে বালি স্তুপ করে রেখেছে। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহলের দাবি, সড়কের পার্শ্বে বালি রাখা সম্পূর্ণ বেআইনী। কয়েকবার তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও যখন বালি স্তুপ করে রাখে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হউক। স্থানীয় মেম্বার আবু বক্কর ছিদ্দিক বান্ডির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যাইনি। আরেক আওয়ামী সেস্বাসেবকলীগ নেতা জানান, সম্প্রতি ইউএনও মহোদয় এসে তাদেরকে জরিমানা করে দিলে হয়তো বন্ধ হবে । এসময় আরেক নেতা জানান, রাস্তার পাশে বালি রাখার সম্পূর্ন বেআইনী, প্রশাসন চাইলে তা শিঘ্রই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারপরও কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তারা কেন বালি রাখছে তা খতিয়ে দেখা দেখা হলে তা বেরিয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত: