বিনোদন ডেস্ক :: একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। মুহূর্তেই তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় বিনোদন অঙ্গন। চিত্রনায়িকা পরীমনিকে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে এমন স্ট্যাটাস দেয়ার পর রাতেই নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে পরী জানান, বুধবার রাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় গেলেও সহযোগিতা না করে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনায় চারদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে ফেসবুকের শরণাপন্ন হন। যদিও, তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না বলে তার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরে আহম মিয়া।
সময় সংবাদকে তিনি বলেন, ডিউটি অফিসারের কাছে পরীমনি যখন আসেন তখন তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। এ অবস্থায় কারো অভিযোগ নেওয়া সম্ভব নয়। তখন আমাদের টিম তাকে হাসপাতাল পর্যন্ত দিয়ে আসে। তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। কোনো অভিযোগ দিতেও আসেননি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে পরীমনি বলেন, তিনি যদি মারা যান তবে দায়ী থাকবেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
পরীমনি বলেন, আমাকে জোর করে ওয়াশরুমে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। সে নাকি বেনজীর আহমেদের বন্ধু। কাছের মানুষ। আমাকে সে বলে, বেনজীর কি তোর বাপ লাগে? পারলে তোর বাপকে ডাক। তোকে তিন টুকরা করে নদীতে ভাসায় দেব।
পরীমনি আরও বলেন, উনার নাম নাছির ইউ মাহমুদ, বোর্ড ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট। আমি তাকে চিনিই না। ওইদিনই আমার সাথে প্রথম দেখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুরো সময় পাশে ছিলেন নাট্য নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। দুঃসহ স্মৃতি কাটিয়ে যেন পরীমনি ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে জন্য সবার সহযোগিতা চান তিনি।
তিনি বলেন, পরীর মুখে আপনারা যা শুনেছেন। আমিও আজ তাই শুনেছি। সে যেহেতু বিচার চেয়েছে, অবশ্যই এর বিচার হওয়া উচিত। পরীমনি আমাদের দেশের সম্পদ। ওর পাশে থাকা উচিত আমাদের সবার।
এদিকে, সোমবার সকালে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাছির মাহমুদসহ ৬ জনকে আসামি করে সাভার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরীমনির সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হতে দেয়া গেছে বিনোদন অঙ্গনের মানুষদের। পাশে দাঁড়িয়েছেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ, অভিনেত্রী ভাবনাসহ আরও অনেকেই।
পাঠকের মতামত: