ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আজিজনগরে আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ।। বান্দরবানে ২৫ ইউপিতে আ.লীগ প্রার্থী ২০টিতে প্রতিদ্বন্দ্বী জনসংহতি সমিতি

image_152081_0বান্দরবান প্রতিনিধি :::

তৃতীয় ধাপে আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় বান্দরবানের ৬টি উপজেলার ২৫টি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৫ প্রার্থী। আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র ব্যানারে ২০টি ইউনিয়নে লড়ছেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী। রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মনোনয়নপত্র প্রত্যহারের মাধ্যমে সরে দাঁড়িয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী।

লামার আজিজনগর ইউপির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার ৫দিন পর নির্বাচন কমিশন থেকে গত মঙ্গলবার আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আর বাধা নেই বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। ফলে প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল যথাযথ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এ ইউপিতে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময় মতে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে বুধবার অভিযোগ করেছেন, তারা এবং দুর্গম এলাকার ভোটাররা জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হুমকিণ্ডধামকিতে মহাবিপাকে রয়েছেন। বান্দরবান সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী রাজবিলা ইউনিয়নের অংক্যচিং মারমা, রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত উথোয়াচিং মারমা এবং নোয়াপতং ইউনিয়নের চনু মং মারমা জানান, তাদের ইউনিয়নের দুর্গম এলাকাসমূহে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা (বহিরাগত) নৌকা প্রতীকে ভোট না দেয়ার জন্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। হুমকি প্রদান করে বলা হচ্ছে, যারা জনসংহতি সমিতির নির্দেশ অমান্য করবে তাদের এলাকা ছাড়া করা হবে এবং প্রাণনাশ করাসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে।

অপরদিকে রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অংশৈ মং মারমা বলেন, জুম্ম মানুষের কল্যাণে পাহাড়ে এবার দক্ষ ও যোগ্য নেতারাই জনসংহতি সমিতির মনোনীত হয়ে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাদের প্রতি জুম্ম জনগোষ্ঠীর অবাধে সমর্থন রয়েছে। এসব জনসমর্থন দেখে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন শান্তিপ্রিয় জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ভোটেরদিন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাররা এর সমুচিত জবাব দেবে।

বিএনপি এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন আওয়ামী লীগ ও জনসংহতি সমিতির সমর্থকদের নানামুখি হুমকিণ্ডধামকির আশংকায়। তবে বিএনপি প্রার্থীরা মাঠ পর্যায়ে তাদের বিপুল সমর্থক রয়েছে এবং নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠিত হলে এ দল থেকেই বিজয়ী হবেন অধিকাংশ চেয়ারম্যান, বলছেন শীর্ষ নেতারা।

 

পাঠকের মতামত: