ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

জেলায় ২০৫ বৈধ অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৮১টি

আজ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান

কক্সবাজার প্রতিনিধি :৷  আজ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে। ৬ জানুয়ারি ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগষ্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুট হয় এবং ভাংচুর চলে। ফলে অনেক অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায়নি। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। অস্ত্র জমা দেয়ার শেষ সময় গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে ৫ টা পর্যন্ত হলেও জেলায় ২০৫ লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ৮১ টি। জমা পড়েনি ১২৪ টি। অর্থাৎ জমা না হওয়ায় লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্রও অবৈধ অস্ত্র হিসাবে গণ্য হবে।
জেলা প্রশাসকের জেএম শাখাসূত্রে জানা যায়-২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজারের আগ্নোয়াস্ত্র লাইসেন্সের সংখ্যা ২৭৯ টির বিপরীতে প্রশাসন অস্ত্র ক্রয় করেছে ২৩৩ টি। এরমধ্যে জমা প্রদানযোগ্য অস্ত্র ২০৫টি। বিভিন্ন জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং কর্মরত সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যুজনিত কারণে, পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য অস্ত্র বরাদ্দ রয়েছে ৭৪টি। গতকাল বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের জেএম শাখায় মোট অস্ত্র জমা পড়েছে ৮১ টি। অর্থাৎ ২০৫ টি বৈধ অস্ত্র থেকে এখনো পর্যন্ত ১২৪টি অস্ত্র লাইসেন্সধারীরা জমা দেয়নি। ফলে গতকাল বিকাল ৫ টার পর থেকে উক্ত ১২৪টি অস্ত্র বৈধ হয়েও যথাসময়ে জমা না দেওয়ায় অবৈধ অস্ত্র হিসাবে গণ্য হবে।

এদিকে এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযান নিয়ে জনমনে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ছড়িয়েছে কিছুটা গুঞ্জনও। বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এই আতঙ্ক কিছুটা বেশি বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে একটি তালিকা হয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। যৌথ বাহিনীর যেসব সদস্য উদ্ধার অভিযানে যাবেন তারা আগে নিজের পরিচয় দেবেন। এরপর গ্রেপ্তার করবেন। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ছাড়া অভিযান পরিচালনার সময় সন্ত্রাসী বা সাধারণ মানুষ যার কাছেই অস্ত্র পাওয়া যাবে তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে সূত্র জানায়।

পাঠকের মতামত: