বিশেষ প্রতিনিধি :: নির্বাচনে ব্যবহার করা ইভিএম মেশিনের কোনো ভুলত্রুটি কেউ ধরতে পারলে তার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে এক মতবিনিময়সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, “অনেকে বলেন ‘এক জায়গায় ভোট দিলে অন্য জায়গায় চলে যায়’। এ ধরনের ভ্রান্ত ধারণা মানুষের মধ্য হতে দূর করতে হবে।
আমাদের ইভিএম মেশিনের মতো সেরা মেশিন পৃথিবীর কোথাও নেই। রাজনৈতিক প্রতিটি দলে আইটি বিশেষজ্ঞ আছে, তাদেরও আমরা আমাদের মেশিন দেখাব। তাদের হাতে ছেড় দেব, দেখান কোথায় ভুল আছে?” আর কোন মেশিন কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক। বর্তমান কমিশনে আমরা যারা আছি সকলে জনগণের অধিকার জনগণকে প্রয়োগ করতে দেব। যত ধরনের বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন আমরা তা প্রতিহত করব। যদি প্রতিহত করতে না পারি তাহলে বসে থাকব না, চলে যাব। ‘
ইভিএম প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগামীতে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বসব। এখানে উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসাররা আছেন। আপনারা অফিসে ইভিএম রাখবেন, যাতে মানুষ সেটা দেখতে পারে কিভাবে ভোট প্রয়োগ করতে হয়। ‘
মতবিনিময়সভায় তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কোনো কাজ করা যাবে না। যেমন ব্যাংকে হিসাব খোলা, জমির দলিল, মোবাইলের সিম ক্রয়, পাসপোর্টসহ অনেক কাজে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। এ জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদকে গুরুত্ব দিতে হবে। যারা ভোটার হালনাগাদের তথ্য কম্পিউটারে এন্ট্রি দেবেন তারা খুব সতর্কতার সাথে মানুষের নাম-ঠিকানা লিখবেন। যাতে কোনো ভুল তথ্য না আসে। আগামী ১৫ জুন মাদারীপুরের কিছু ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। কোনো ধরনের জোর বা প্রভাব খাটানো যাবে না। নির্বাচনে যাতে কেউ কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে পারে সে জন্য আমরা কঠোর নজরদারি রাখব। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনের ভোট দিনেই হবে। রাতে কোনো ভোট হবে না। ‘
মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাউ মারমা। সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল মামুন। সভায় বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: