নিউজ ডেস্ক ::
রাজধানীর উত্তরায় ডেসকোর আওতাভুক্ত আবাসিকের এক বাসিন্দা নিজের মে মাসের বিদ্যুৎ বিল দেখে রীতিমত স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। একই তো করোনায় সকলে বিপর্যস্ত। আয় রোজগারও নেই আগের মতো, তার উপর এই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল যেন খরার উপর মরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নাগরিকের জন্য। যেখানে মার্চ মাসে এই বাসিন্দার বিদ্যুৎ বিল আসে এক হাজার ২১ টাকা। এপ্রিলে বিল আসে ১ হাজার ৩০৮ টাকা। কিন্তু মে মাসেই বিল আসে প্রায় ৫ গুণ বেশি, ৫ হাজার ৪৯৩ টাকা!
ওলটপালট বিদ্যুৎ বিলে অবাক রাজধানীর মিরপুরের আরেক বাসিন্দাও। রাজধানীর আরেক বিতরণ প্রতিষ্ঠান ডিপিডিসির গ্রাহকরাও এমন ভোগান্তির শিকার। মে মাসের বিদ্যুৎ বিল বাড়ি বাড়ি গিয়েই তৈরি করেছেন মিটাররিডাররা। তাই এবারের বিদ্যুৎ বিলে অসঙ্গতি নেই দাবি করেছেন ডিপিডিসির একজন নির্বাহী পরিচালক। ব্যবহারের চেয়ে অতিরিক্ত এই বিল করাকে গণবিরোধী আচরণ বলছে, ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব’র জ্বালানি উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম। ইচ্ছা করেই কেউ বিদ্যুৎ বিলে গড়মিল করলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। আবাসিক শ্রেণির গ্রাহকদের মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব ফি মওকুফ করেছে সরকার। আর বিল পরিশোধ করতে হবে জুনের মধ্যেই। তবে, গ্রাহকদের অভিযোগ অন্যায্য বিল সমন্বয় না করেই নির্ধারিত সময়ের পর বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো।
পাঠকের মতামত: