বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকামী বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ শ’র অধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি। বিএনপি বলেছে, আসলে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা নয়, চলমান অভিযান গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করার জন্যই চালানো হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রায় সাত হাজারের অধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ শ’র অধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অসংখ্য নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে। অথচ মূল জঙ্গিদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। মাত্র ৮৫ জন সন্দেহভাজনকে জঙ্গি হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রেরিত বার্তায় বলা হয়েছে।
অভিযানে বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যগুলো আপনাদেরকে অবহিত করেছি। চাপে রাখতে দলের শীর্ষনেতা থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের বাড়ির সামনে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকামী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
বিগত আন্দোলনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যেখানেই পেট্রলবোমা ও আগুন সেখানেই আওয়ামীরা। তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই হচ্ছে সন্ত্রাস ও শক্তি প্রয়োগ করা। পাশাপাশি অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটতে আওয়ামী লীগের জুড়ি মেলা ভার। রিজভী দাবি করে বলেন, অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় থানা পুলিশকে কব্জায় নিয়ে গায়ের জোরে যে কারো বিরুদ্ধে যেকোনো মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা যায়। তবে তাতে সত্যকে ঢাকা দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদক কাজী রফিক প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: