ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অঢেল টাকা ও ফেনসিডিলসহ চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার গ্রেফ্তার, খেলারাম খেলে যায় … শুধু শুধু মার খায়

::  এম.আর, মাহামুদ  ::
কবি গুরু রবি ঠাকুরের একটি কবিতা দিয়ে শুরু করতে হচ্ছে “বড় চোর, বড় বীর; থাকে তার, উঁচু শীর”। এমনি একজন বড় বীরকে ভৈরবের রেল পুলিশ আটক করেছে। গুণধর রাজ কর্মচারীর নাম সোহেল রানা বিশ্বাস। তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার। পুলিশ তাকে গ্রেফ্তার করার সময় নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক; ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফ.ডি.আরের নথি। এফ.ডি.আর তার স্ত্রীর নামে। একই সাথে ১২ বোতল আমদানি নিষিদ্ধ ফেনসিডিলও পাওয়া গেছে। জব্দকৃত টাকা গুলো বৈধ বলে মনে হয়না। কারণ, একজন জেলার চাকুরী জীবনে বৈধ ভাবে এত টাকার মালিক হতে পারেনা। হয়তো কারাগারে বন্দিদের কাছ থেকে নানা কায়দায় এ পরিমাণ টাকা আদায় করেছে। সাথে ফেনসিডিল উদ্ধারের কারণে মনে হচ্ছে ওই সরকারী কর্মকর্তা মাদকাশক্ত। সংগত কারণে বলতে হয় কারাগারে আটক বন্দিদের অভিভাবক হচ্ছেন ওই জেলার। তার তত্ত্বাবধানে পুরো কারাগার পরিচালিত হয়। উদ্ধারকৃত টাকার পরিমাণ দেখে মনে হচ্ছে বন্দিদের জিম্মি করে এ পরিমাণ টাকা আয় করেছে। না হয় কারাগারে মাদকের হাট বসিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা সহ চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার আটকের সংবাদটি মুহুর্তেই ভাইরাল হওয়ায় এক সচেতন ব্যক্তি মন্তব্য করতে শুনা গেছে একজন জেলার মানে একটি ছোট্ট নদী। এই নদীতে যদি এ পরিমাণ পানি থাকে তাহলে সমুদ্রের অবস্থা কি? গ্রাম গঞ্জে ছোট-খাটো অপরাধের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের মাথা ন্যাড়া ও নির্মম পিঠুনির দৃশ্য প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। যা দেখে বিবেকবান মানুষ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মামলার আওতায় এনে এসব অপরাধিদের শাস্তির ব্যবস্থাও করছে। অথচ একজন রাজ দরবারের কর্মকর্তার কেন এমন অপকর্মের ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নেয়া হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছে জাতি। খেটে খাওয়া একজন শ্রমিকের মন্তব্য উল্লেখ না করলে হয়না- “খায়দায় চাঁদ মিয়া, মোঠা হয় জব্বার; তিনটি ইয়াব নিয়ে ধরা পড়ে বক্কর, তা নিয়ে কত ঢাক ঢোল পিঠানো হয়”। দুদক দূর্নীতি বন্ধের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সুফল যে পাওয়া যাচ্ছেনা তা নয়। অথচ রাজ দরবারে বসে থাকা এসব খাদেমারা অধরায় থেকে যাচ্ছে। দু’ কেজি গোল আলু চুরির অপরাধে অনেকে জেলে যাচ্ছে। আবার অনেকে হাজার কোটি টাকা লুঠপাঠ করেও বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আসলে তারাই ভাগ্যবান ব্যক্তি। সে জন্যই কবি গুরো রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর খেলারাম কবিতায় বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে লিখেছেন “খেলারাম খেলে যায় হত ভাগা অসহায় শুধু শুধু মার খায়”। মন্তব্য নি®প্রয়োজন।

পাঠকের মতামত: