নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি কিছু অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেসব ব্যক্তি অনলাইনে যে দেশ থেকে এ ধরনের অপপ্রচার চালায়, সে দেশের আইন অনুযায়ী সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষকে অবারিত সুযোগ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাজে খারাপ ধরনের অস্থিরতা তৈরি করার সুযোগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনেক সময় অস্থিরতা তৈরি করা হয়। দেশের বিরুদ্ধে ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে অহেতুক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছেন। এই করোনার মধ্যে অনেক ধরনের গুজব রটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে, দেশ এবং বিদেশ থেকে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনার জন্য অনেকগুলো কাজ করেছে। যেমন অনলাইন রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু, আইপিটিভি রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করা এবং কিছু কিছু অনলাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিদেশ থেকে বসে বসে তারা বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ এবং নির্দিষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে…। করোনা যেমন নানা ধরনের ভেরিয়েন্ট প্রকাশ করে বিভিন্ন সময়, এই সমস্ত অনলাইন পোর্টালগুলোর দেখা যায় মাঝেমধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় প্রকাশ হয়। কিন্তু এগুলোর পেছনে একই ব্যক্তি বিশেষ, তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা সার্ভিস প্রোভাইডার তাদের কাছ থেকে সব সময় যে ধরনের রেসপন্স পাওয়া প্রয়োজন, সে ধরনের রেসপন্স পাওয়া যায়নি। কোনো একটা কন্টেন তারা সরায়নি। বাংলাদেশের আইন আদালত যখন রায় দেয় একটি কন্টেন’র বিরুদ্ধে সেটি অবহিত করার পরও সেই কন্টেন সরানো হয়নি এমন ঘটনাও রয়েছে। এজন্য আমরা সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে যেমন আলোচনা করছি, একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে সমস্ত ব্যক্তি বিশেষ বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে যে দেশ থেকে এ ধরনের অপপ্রচার চালায়, সে দেশের আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট ফ্রন্টিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে একটি আপত্তিকর রিপোর্টে প্রকাশ করেছে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেটি প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলাম। আমরা জানিয়েছিলাম এটা সংশোধন করা না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। রিপোর্টার উইদাউট ফ্রন্টিয়ারের অফিস হচ্ছে ফ্রান্সে, ফরাসি আইনে ফরাসি আইনজীবীর মাধ্যমে তাদেরকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ফরাসি আইন অনুযায়ী এমনকি ইউরোপিয়ান আইন অনুযায়ী ব্যক্তি বিশেষকে কটাক্ষ করে, টার্গেট করে তারা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল তা করতে পারে না। ফরাসি আইনের সেই ধারা উল্লেখ করে, ইউরোপিয়ান আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা উল্লেখ করে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, অন্যান্য দেশ থেকেও যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত: