মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::
পেকুয়া উত্তর মেহেরনামা এলাকার মেধাবী শিক্ষক মাস্টার এস.এম ফরহাদ উদ্দিন হত্যাকান্ডের এক বছর আজ। এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৬ আসামী মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে ‘চার্জশীট’ দাখিল করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গত বছর এইদিন (৬ মে) রাত ৯টার দিকে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত ও বন্দুকের গুলি ঠেকিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মাস্টার মোহাম্মদ ইউনুচ ৮ মে পেকুয়া থানায় মামলা করেন। মামলা নং-৮। এ মামলায় ৬জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলো-পেকুয়া সদরের আব্দুল হামিদ সিকদারপাড়ার বাসিন্দা মৃত মাওলানা নুর আহমদের ছেলে ছালেহ জঙ্গি প্রকাশ ছোটন, ছালেহ জঙ্গির স্ত্রী আছমাউল হুসনা, মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে নুরুল আবছার, মৃত মাওলানা নুর আহমদের ছেলে সিরাজুল মোস্তফা, নুরুল আবছারের স্ত্রী শাহেদা বেগম ও মেয়ে শিরিন জান্নাত।
এদের মধ্যে ছালেহ জঙ্গি প্রকাশ ছোটন ও তার স্ত্রী আছমাউল হুসনার বিরুদ্ধে আদালতে ‘চার্জশীট’ দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুর রহমান। স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এস.এম ফরহাদ উদ্দিন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গণিত বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে সবেমাত্র একটি বেসরকারী কলেজে চাকরী শুরু করেন। ইত্যবসরে তিনি বাড়ীতে এসে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।
মামলার বাদী মাস্টার মোহাম্মদ ইউনুচ বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় আমার ছেলেকে খুন করা হয়। এমনকি সন্ত্রাসীদের ছুঁড়া গুলিতে আমার ছেলের বক্ষ ভেদ করে কলিজা বের হয়ে যায়। বাদী অভিযোগ করেন, ঘটনার এক বছরেও উল্লেখযোগ্য কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আসামী ছালেহ জঙ্গি প্রকাশ ছোটন ও তার স্ত্রী আছমাউল হুসনার বিরুদ্ধে আদালতে ‘চার্জশীট’ দাখিল করা হয়। তবে এ মামলায় এজাহারভুক্ত কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা তা তিনি স্পষ্ট করতে পারেননি।
এ দিকে এস.এম ফরহাদ উদ্দিন স্মরণে আজ পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: