ঢাকা,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘লজ্জা-শরম’ বলতে কিছু নেই -মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক :: সংসদে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, লোকবল নিয়োগ না হওয়া নিয়ে সাংসদদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী একজন নির্লজ্জ ব্যক্তি। তার ‘লজ্জা-শরম’ বলতে কিছু নেই।

রবিবার (৪ জুলাই) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিএনপি সমর্থিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজিত ‘মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরা কথা বলছেন, বিরোধী দলের কয়েকজন কথা বলেছেন, সারাদেশের মানুষ কথা বলছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে, দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে তিনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) চিত্রিত হয়েছেন, ছবি তোলা হয়েছে এগ্রিমেন্ট সই করার সময়। তারপরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। তার লজ্জা-শরম বলতে কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না।’

‘দুর্ভাগ্য আমাদের যে, এরকম একটা ভয়ংকর গণবিরোধী সরকার যারা আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধবংস করে দিচ্ছে। তারা এখনো সরকারে আছেন এবং বহাল তবিয়তে আছে’।

তিনি বলেন, ‘সরকার চরম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এই করোনাভাইরাসে যখন মানুষের জীবন চলে যাচ্ছে, তখন স্বাস্থ্যখাতে ভয়াবহ দুর্নীতি চলছে। আমরা প্রথম থেকে বলছিলাম জেলার হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হোক, অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা করা হোক, ওষুধের ব্যবস্থা করা হোক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শতকরা ৫২টি হাসপাতালে কোনো আইসিইউ বেড নেই। একটি জেলা হাসপাতালেও কোনো অক্সিজেন সরবারহের ব্যবস্থা নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের মাধ্যমে চরম নির্যাতন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র সত্য কথা বলার কারণে গত ৬ মাসে ১৫০ জনের মতো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টে মামলা করা হয়েছে।’

তরুণদেরকে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই জাতিকে বাঁচানোর জন্য, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এখনই জেগে উঠতে হবে, এই ঘোরতর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আবদুল হাই শিকদার, বাকের হোসাইন, বাসির জামাল, রাশেদুল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মোরসালিন নোমানী প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: