নিউজ ডেস্ক :: আজ ফজরের নামাজের পর কক্সবাজারের প্রানকেন্দ্র কবিতা চত্তরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে কক্সবাজার জেলা ইজতেমা।
এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ইজতেমার সব ধরণের প্রস্তুতি। দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির পদচারণায় এরই মধ্যে মুখরিত ইজতেমা ময়দান। রাত বাড়ার সাথে সাথে আরো লক্ষাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কক্সবাজার জেলা ইজতেমা আয়োজক কমিটি।
ভিআইপি, বিদেশি এবং আলেম-ওলামাদের জন্য বিশেষ প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। ইজতেমা শেষে যারা তিন চিল্লায় বের হবেন তাদের জন্য কালো কাপড়ে বিশেষ প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন জেলার ১০ টি উপজেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগন। এরইমধ্যে বিদেশি অনেক মুসল্লি কবিতা চত্তর ইজতেমা ময়দানে এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা। এছাড়া নির্ধারিত ১০ উপজেলার মুসল্লিরা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে আসতে থাকেন ইজতেমা ময়দানে।
ইজতেমা স্থলে আগত মুসল্লিরা বলেন, যেসব মুসলমান নামাজ পড়েন না তাদের নামাজের পথে ডাকা এবং ইমান ও আমলের পথ সম্পর্কে জানতেই আমরা এখানে এসেছি।
কবিতা চত্তরের মূল ময়দানকে এরই মধ্যে ঢেকে দেয়া হয়েছে সামিয়ানা দিয়ে। নিশ্চিত করা হয়েছে পানি ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কক্সবাজার জেলার ইজতেমায় বধিরদের জন্য নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাদেরকে ইশারায় বোঝানোর জন্য ইতিমধ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাবলীগের সাথীরা ঢাকা থেকে এসে উপস্থিত হয়েছেন। শতাধিক বধির এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। আরও উপস্থিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাবলীগের মুরুব্বীরা।
কক্সবাজার জেলা ইজতেমার জিম্মাদার অ্যাডভোকেট হামিদ উল্লাহ জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা ইজতেমা আয়োজনের জন্য ইতিমধ্যে অনুমতি নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত ধর্ম বান্ধব সরকার।
ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত মোহাম্মদ দানু মিয়া বলেন ,ইজতেমার মূল ধারা থেকে বের হয়ে হেফাজত পন্থী বিপথগামী কিছু সদস্য মূল ধারার ইজতেমায় আসতে বিভিন্ন প্রকার গুজব ছড়িয়ে বাধা প্রদানের চেষ্টা করছেন। তিনি এ ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে মূল ধারার ইজতেমায় দলে দলে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান কবীর জানান, আমাদের লোকেরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছেন। মুসল্লিদের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরইমধ্যে কক্সবাজার সদর সদর থানার পক্ষ থেকে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা জানান, কক্সবাজার জেলা ইজতেমা আয়োজনের জন্য শর্তসাপেক্ষে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকল শাখায় প্রয়োজনীয় অনুমতি পত্র পাঠানো হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ইজতেমা আগামী ২৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর শেষ হবে।
প্রকাশ:
২০১৯-১১-২৭ ১৪:৫৪:০৫
আপডেট:২০১৯-১১-২৭ ১৪:৫৪:০৫
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- চকরিয়ায় মসজিদের নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতে চকরিয়ায় কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
পাঠকের মতামত: