ঢাকা,শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তি সংগ্রাম আর যুদ্ধে চিত্র শিল্পীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জল

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উখিয়া উপজেলা আর্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী।

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
উখিয়া উপজেলা আর্ট ক্লাবের মিলনমেলা বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় সোনারপাড়াস্থ সী-বীচ পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই অনুষ্ঠিত মিলনমেলায় উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কবি আদিল চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- উখিয়া আর্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহম্মদ, জেলা আর্ট ক্লাবে সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল কবির, জেলা আর্ট ক্লাবের সদস্য সচিব হাবিব হাসান, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন- জেলা আর্ট ক্লাবের আহবায়ক তারভীর সরওয়ার রানা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উখিয়া আর্ট ক্লাবের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ। উখিয়া আর্ট ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি সৈয়দ নুরুল আলম ভূট্টোর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমাজে শিল্পীদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। শিল্পীরা তাদের রং তুলির আছড় দিয়ে সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রাম আর যুদ্ধে চিত্র শিল্পীদের ভূমিকা গৌরবোজ্জল। ওই সময় চিত্র শিল্পীদের বিভিন্ন চিত্রকর্ম মানুষকে দেশ প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধে উৎসাহ যুগিয়েছে। উখিয়া আর্ট ক্লাবের প্রয়াত দুজন চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী ও শামশুল আলমের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, এ দু’শিল্পী জীবদ্দশায় সমাজে আলো ছড়িয়েছেন। ব্যক্তিত্ব ও কর্মগুনে তারা অমর হয়ে থাকবেন। বক্তারা সকলেই শিল্পীদের ইতিবাচক কর্মকান্ডের সাথে তাদের সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সভায় উখিয়া আর্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী ও শামশুল আলম স্বরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

পাঠকের মতামত: