ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

জেলা যুবলীগের নিয়মবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশের প্রতিবাদে টেকনাফ পৌর যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

mail.google.comআমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  ::::
টেকনাফ পৌর যুবলীগের সভাপতি মনজুরুল করিম সোহাগকে কক্সবাজার জেলা যুবলীগ কর্তৃক হঠকারীতামূলক, নিয়ম বহির্র্ভূত ও পক্ষপাতদুষ্টভাবে সাময়িক বহিষ্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে নেতা কর্মীরা। ১৬ মার্চ বুধবার বিকাল ৪ টায় উক্ত সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অং চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল টেকনাফ পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে সভায় মিলিত হয়।
পরে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে ঘন্টাব্যাপী সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মনজুরুল করিম সোহাগের নিয়ম বহির্ভূত বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এসময় গোটা পৌর বাসষ্টেশন এলাকা ফাঁকা হয়ে পড়ে ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। পরে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এর আগে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভা পৌর যুবলীগ সহ-সভাপতি মোঃ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অং চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তাগন বলেন, জেলা যুবলীগ সম্পূর্ন পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পৌর যুবলীগ সভাপতি আপোষহীন ও প্রতিবাদী যুবনেতা মঞ্জুরুল করিম সোহাগকে সাময়িক বহিস্কার করেছে। এ অন্যায় সিদ্ধান্ত পৌর যুবলীগ নেতা-কর্মীরা কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারেনা। অথচ ইউপি নির্বাচনের সাথে পৌর যুবলীগের কোন সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে বক্তাগন বলেন, জেলা যুবলীগ নেতা সাবরাং এর আবুল কালাম ও নজির আহমদ সীমান্ত উপজেলা যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারন সম্পাদক ফজলুল কবির সাবরাং এর বিদ্রোহী প্রাথী নুর হোসেনের পক্ষে প্রকাশ্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করলেও জেলা যুবলীগ সে ব্যাপারে কেন পদক্ষেপ নেয়নি। এ থেকেই প্রতীয়মান হয় গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে জেলা যুবলীগ একদিকে সাবরাংএ নুর হোসেনের পক্ষ নিয়ে নৌকা প্রার্থীর বিরোধীতাকারীদের আস্কারা দিয়ে যাচ্ছে অথচ কোন কারন ছাড়াই পৌর যুবলীগ সভাপতিকে সাময়িক বহিস্কারাদেশ দিয়েছে। যা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান পৌর যুবলীগ। অন্যথায় জেলায় হরতালসহ আরও বৃহত্তর কমসূচী দিতে বাধ্য হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং পরিচ্ছন্ন যুবলীগ নেতা যিনি ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সামাজিক আন্দোলন চালান তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা মানে টেকনাফের যুবলীগের হাতকে দুর্বল করার জন্য ইয়াবা গডফাদারদের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার বাস্তবায়ন মাত্র। বক্তারা আরো উল্লেখ করেন, কক্সবাজার জেলা যুবলীগ এখানো গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৭১ সদস্য বিশিষ্ট টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিতে পারেনি। অথচ হাস্যকরভাবে শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মানব পাচারকারীদের নিয়ে গঠিত একটি অবৈধ কমিটি নিয়ে কিভাবে বর্ধিত সভা করে একজন পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাকে বিনা নোটিশে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে এবং কক্সবাজার জেলা যুবলীগও সেই নিয়ম বহিভর্’ত অবৈধ সুপারিশ বাস্তবায়ন করে তা নেতা কর্মীদের বোধগম্য নই। অবিলম্বে সেই সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবী জানান। অন্যথায় যে কোন কঠিন পরিস্থির জন্য জেলা যুবলীগ দায়ী থাকবে।
এসময় পৌর যুবলীগের সহসভাপতি ছৈয়দ করিম, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার মিয়া, নুরুল আলম, এনায়েত উল্লাহ, মোঃ আবদুল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক, মোঃ সেলিম, সামশুল আলম, নুরুল আমিন, ফরহানুজ্জামান, মারুফ ইব্রাহীম বাবু, মেহেদী হাসান, মোঃ রুবেল প্রমূখ।

পাঠকের মতামত: