ওমর ফারক হিরু, কক্সবাজার :: পযর্টকের আবাসনের জন্য কক্সবাজারে থাকা সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল আর রির্সোট রয়েছে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব হোটেলের প্রায় ৮০ ভাগ‘ই নেই উন্নতমানের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে পর্যটক সহ স্থানীয় জনগণ।
জানা যায়, পর্যটন মৌসুম ছাড়াও বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজারে। কখনও কখনও এর সংখ্যা আড়াই লাখ পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। বেড়াতে আসা এসব পর্যটকেরা অবস্থান করেন শহরের সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল আর কটেজে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সাফায়েত হোসেন বলেন, ‘কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনে থাকা ভবণগুলোর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা চেক করতে গিয়ে দেখা যায়, এখানে প্রায় ৮০ ভাগ ভবনে উন্নতমানের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। তাই ক্রটি থাকা ভবণগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে দেয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে যেন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঝুঁকি এড়াতে হোটেল-মোটেল জোনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ বলেন, অভিযান সবে মাত্র শুরু হয়েছে। যারা অনিয়মের মাধ্যমে বিল্ডিং করেছে এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, তাদের খুঁজে বের করা হবে। তারা নিজে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আইনের আওতায় আনা হবে।
জেলার সচেতন মহল বলছেন, পর্যটন নগরীতে এত বড় অব্যবস্থাপনা কোনভাবেই কাম্য নয়। পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধান জরুরী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ রিদুয়ান জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারও অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রয়েছে বেশিরভাগ ভবণে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায়। তাই পর্যটন শিল্পকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনকে দ্রুত সময়ের হোটেল-মোটেলগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
একইভাবে সাইফুল ইসলাম নামে সচেতন যুবক জানান, এই নগরীতে যেভাবে পর্যটক আসছে ঠিক সেভাবে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া যাচ্ছেনা হোটেল-মোটেলগুলোতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায়। তাই আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হোক পর্যটক সেবা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার বলেন, আবাসিক হোটেল-মোটেল আর কটেজে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কিনা তা দেখার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওখানে থাকা সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাদেরকে প্রাথমিকভাবে জরিমানা করা হচ্ছে। এর পরেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৪-২৩ ১৫:১৪:০১
আপডেট:২০১৯-০৪-২৩ ১৫:১৪:০১
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন কক্সবাজারের সন্তান এ এম এম নাসির উদ্দীন
- কক্সবাজারে নানা আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
- কক্সবাজারে শঙ্কার মাঝেও বাণিজ্য মেলার অনুমতি, প্রধান সমন্বয়ক আ.লীগ নেতা!
- আওয়ামী শাসন আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে -রামু’তে জেলা জামায়ত আমীর
- চবি ছাত্রশিবিরের ১৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
- টেকনাফে সাবেক ওসি রনজিতের অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ
- চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে আ.লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ
- জেলায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার পরিবার
- চকরিয়া উপজরলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকাল
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
- চকরিয়ায় ঝুলন্ত ফেরিওয়ালার মরদেহ উদ্ধার
- শান্তি-শৃঙ্খলা আনতে প্রয়োজন আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন -চকরিয়ায় মাসুদ সাঈদী
- জেলায় টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ১ লাখ ১৫ হাজার পরিবার
- টেকনাফে সাবেক ওসি রনজিতের অবৈধ সম্পদ জব্দের আদেশ
- কুতুবদিয়ায় আলোচিত ৪ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়া উপজরলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকাল
- চকরিয়া শহর পরিস্কারের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের ১০১ দিবস উদযাপন
- চকরিয়ায় জেলা পরিষদের জায়গা থেকে আ.লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ
- আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে গায়েবি মামলার আসামি এবি পার্টির নেতা
- কক্সবাজারের বনে ১২ হনুমান উদ্ধারের ১০ দিন পর ৫৮টি বন্য পাখি উদ্ধার
- কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি প্রত্যাহার
- সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
পাঠকের মতামত: