৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার ইয়াবা উদ্ধার
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: টেকনাফের নাফনদী সীমান্ত পথ ব্যবহার করে একট বড় ইয়াবার চালান অনুপ্রবেশ করার সময় সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর গুলিতে দুই রোহিঙ্গা মাদক কারবারি নিহত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের হোয়াইক্যং খারাংখালী বিওপি’র সুবেদার নুরুল ইসলাম মিয়ানমার হতে ইয়াবার চালান আসার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ টহল দল নিয়ে ৪নং স্লুইস গেইট এলাকায় অভিযানে যান। কিছুক্ষণ পর ৩/৪জন লোক ব্যাগ সহকারে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে আসার সময় বিজিবি জওয়ানরা তাদের থামার জন্য সংকেত দেন। তখন মাদক বহনকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
গুলিবর্ষণ বন্ধ হলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে শরীরের সাথে বাঁধা ২টি ইয়াবার ব্যাগসহ গুলিবিদ্ধ ২ ব্যক্তি এবং ২টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয় যা গণনা করে ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার ইয়াবা পাওয়া যায়।
এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে ২ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, ‘গোপন সংবাদে জানতে পারি বেশ কয়েকজন যুবক মিয়ানমার থেকে বড় একটি ইয়াবার চালান টেকনাফ সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল। সেই গোপন তথ্য অনুযায়ী আমাদের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে পাচারকারী দলের সদস্যরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে এবং তাদের সাথে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিজিবি সদস্যদের উপর হামলা করে। এরপর বিজিবি সদস্যরাও আত্বরক্ষার্থ পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এই দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারী নিহত হয়।’
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে এক লক্ষ ৯০ হাজার ইয়াবা, ২টি ধারালো লম্বা কিরিচ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
এই ঘটনার খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই সুজিত চন্দ্র দে বিশেষ টহল দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লাশ ২টি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ২টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তারা হচ্ছে উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লক-৭নং বস্তির বাসিন্দা ইদ্রিস মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া (১৯) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লক-৩নং বস্তির বাসিন্দা মোহাম্মদ তাহেরের পুত্র মো. ইলিয়াছ (১৮)।
তারপর মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি করার জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পাঠকের মতামত: