ঢাকা,শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন বাস্তবায়িত হচ্ছে

rel duha-coxকক্সবাজার  প্রতিনিধি ::::
বাস্তবায়িত হচ্ছে দোহাজারী-কক্সবাজার-গুনদুম রেললাইন প্রকল্প। দুই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশীয় অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা এতে পাল্টে যাবে পর্যটন নগরীর কক্সবাজারের চিত্রও। দীর্ঘ দু’যুগ পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে প্রকল্পটি। বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করতে যাচ্ছে প্রকল্পটির কাজ। আগামী বছর টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ২০২০ সালের মধ্যে শেষ হবে পুরো কাজ। রেললাইনের জন্য জমি অধিগ্রহণসহ টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এবার আগের নকশায় মিটার গেজ সিঙ্গেল লাইন নয়, ব্রডগেজসহ ডুয়েল লাইনের কাজ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এটি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট সূত্র।
কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। দুই যুগ আগে শুরু হয়েছিল এ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির কাজ। নানা জটিলতার কারণে বার বার বিলম্বিত হয়েছে কাজ শুরু করতে।রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল রেলওয়ে লাইন নির্মাণ প্রকল্পের মিটার গেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ডিপিপি গত ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়।প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩ হাজার ২৯ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ৩০ জুন ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এডিবির অর্থায়নে আরসিআই সম্ভাব্যতা কার্যক্রম শেষে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৭ শত ২৯ দশমিক ৪৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ চলমান রয়েছে। এছাড়া ২৩১টি সেতু নির্মাণ, কম্পিউটার ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যালিংসহ ৯টি ও নন ইন্টারলকিং কালারলাইট সিগন্যালিংসহ ২টি স্টেশন ও ১৭৩ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ। এরমধ্যে ১ শত ২৮ দশমিক ২৬ কিলোমিটার মেইন লাইন ও ৪৫ দশমিক ১০ কিলোমিটার লুপ লাইন।রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণ মূল্য ৩শ’ ১২ কোটি টাকা পরিশোধ করার পর ৬শ’ ৫ কোটি টাকা নতুন করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক ঈশা-ই-খলিল বলেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের কাজ বার বার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে প্রকল্প ব্যয়। মূলত ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের অংশ হিসেবে এ রেল লাইন গুনদুম পর্যস্ত বিস্তৃত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: