ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ-বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৪ লক্ষ পিস ইয়াবা, ২টি ট্রলারসহ ১৯ পাচারকারীকে আটক

নেরন্‌্‌্‌্‌ছৈয়দুল আমিন চৌধুরী, টেকনাফ :::

টেকনাফ সেন্টমার্টিনের অদুরে কোস্টগার্ড সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে ৪ লক্ষ পিস ইয়াবা, ২টি ট্রলারসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করেছে। আটক পাচারকারীরা সকলে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

২৫ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদস্যরা শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিন-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ৫ নটিকেল মাইল অদূরে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এদিকে সন্ধ্যা ৬ টায় ইয়াবাসহ ধৃত পাচারকারীদের ট্রলারযোগে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। অভিযান পরিচালনাকারী কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. ডিকসন চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাগরে অভিযান চালানো হয়। এসময় মিয়ানমারের দিক থেকে দুটি ট্রলার বাংলাদেশ সীমানায় আসলে তাদের থামানো সংকেত দিলে মিয়ানমারের দিকে পালানো চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড জওয়ানরা ট্রলার দুটি জব্দ করে। পরে ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে ৪ লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মুল্য ২০ কোটি টাকা বলে জানা যায়। এসময় ১৯ পাচারকারিকে মাদক পাচারের দায়ে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সাগরপথে ইয়াবা পাচার বৃদ্ধির খবরে কোস্টগার্ড নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। সাগর পথে যে কোন মাদক কিংবা অপরাধ দমনে কোস্টগার্ড সদা তৎপর রয়েছে।

আটককৃত পাচারকারীরা হচ্ছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিন লে লেংগুরবিল এলাকার আমির হামজার ছেলে সামশুল আলম (৩৫), লম্বরি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইলিয়াছ (২৫), লেংগুর বিলের জাহিদ হোসেনের ছেলে আজিুল (২২), নুর হোসেনের ছেলে মকবুল (২৫), আবুল হোসেনের ছেলে অছি উল্লাহ (২২), জাকির আহমদের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩০), লম্বরি আবদুর রহিমের ছেলে ফজলুর কমির (২৭), সাবরাংয়ের আলী আহমদের ছেলে ইমাম হোসেন (৩৫), লে্গংুরবিলের নবী হোছনের ছেলে রুবেল (২৫), আবদুল মালেকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৪), মৌলভী পাড়ার আবদুল সালামের ছেলে নুর আলম (২৫), দক্ষিন লম্বরির নুরুল হকের ছেলে খাইরুল আমিন (২২), আবদুল সালামের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২) ও আবদুল হাকিমের ছেলে রফিক (১৬), তৈয়ব হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮), আবদুল মোনাফের ছেলে আয়ুব আলী (২৪), জাহাঙ্গীর আলম (৩২), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল (১৮), রাশেদুল হক (২৬)।

টেকনাফ কোস্টগার্ড কর্মকর্তা লে. কর্নেল ডিকসন চৌধুরী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।###

পাঠকের মতামত: