ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৪ পুলিশকে মারধর

ডেস্ক রিপোর্ট ::
নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক যুবককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে চার পুলিশ কর্মকর্তাকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাবাবাসী। বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টায় উপজেলার ঝাউগড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তবে পুলিশ গণপিটুনির কথা অস্বীকার করেছে। মাদকদ্রব্যের এক আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে আসামিপক্ষের লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় তারা।
এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আড়াইহাজার থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম , পিএসআই (শিক্ষানবিশ উপ-পরির্শক ) মোফাজ্জল হোসেন , সহকারী উপ-পরিদর্শক মোস্তফা, সহকারী উপ-পরিদর্শক হেলাল সাদা পোশাকে দুটি মোটরসাইকেলে করে উপজেলার ঝাউঘরা এলাকায় যায়। এসময় অটোরিকশাচালক রমজান আলীকে মাদকদ্রব্য দিয়ে আটক করে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশ তাকে মারধর শুরু করে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করে। তখন পুলিশ সদস্যারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বাজে ব্যবহার শুরু করে। এতে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে চার পুলিশকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে আহত এসআই আবুল কাসেম ও পিএসআই মোফাজ্জল হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের মারধরে আহত রমজান হোসেন জানান, উপজেলার ঝাউঘরা গোরস্তান সংলগ্ন তার বাড়িতে পুলিশ এসে তার পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে মারধর শুরু করে । পরে তিনি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে পুলিশের মারধরে প্রতিবাদ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়া জানান, রমজান মাদক ব্যবসা তো দূরের কথা মাদক সেবনও করে না। পুলিশ কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তার পকেটে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল। এজন্য মানুষ উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক বলেন, ‘আড়াইহাজার থানা পুলিশের চার কর্মকর্তা সিভিল পোশাকে এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালায়। এসময় আসামির পক্ষের লোকজনের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কি হয়েছে।’ তিনি পুলিশকে গণপিটুনি ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন ।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামবলেন, ‘গত বুধবার রাতে ঝাউঘরা এলাকা থেকে এক নারী ওসির মোবাইলে ফোন দিয়ে জানায় রমজানের ঘরে মাদকদ্রব্য রয়েছে। ওসি এম এ হক বৃহস্পতিবার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেমকে ওই মোবাইল নম্বরটি দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলে। আজ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরমধ্যে জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ওই নারীকে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার জন্য গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আড়াইহাহার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন । একই সঙ্গে আড়াহাইহাজার থানার তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত করে দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

পাঠকের মতামত: