ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

পল্লী বিদ্যুতের নাম ভাংগিয়ে খুটি বাণিজ্যের অভিযোগ

টেকনাফ সংবাদদাতা ::
টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়াস্থ সংরক্ষিত বনাঞ্চল বৈদ্যঘোনা ও ফকিরা মোরা অপরাধ জগতের এক ভয়ঙ্করের আবাসস্থল। এখানে অস্ত্রের ঝনঝনানী এবং একচ্ছত্র আধিপাত্য বিস্তারের মহৌৎসব চলছে। এখানে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে। হত্যা, গুম, অপহরণ, চুরি, ডাকাতী, চাঁদাবাজী, মুক্তিপণ, সন্ত্রাসী, সরকারী, বনভূমি দখল বাণিজ্য, মাদক, দুর্বলের উপর স্ববলের অত্যচারসহ নানা অপকর্মের এক স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। এ পাহাড়ী জনপদে প্রায় ১ হাজার পরিবার আরিফ বাহিনীর কাছে জিম্মি। এ বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনে এলাকাবাসী রীতিমতো এক অতিষ্ঠের মধ্যে ভোগছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে টেকনাফ পৌর এবং প্রশাসন সংলগ্ন এলাকা পুরাতন পল্লান পাড়াস্থ পাহাড়ী এলাকা বৈদ্যঘোনা ও ফঁকিরা মোরা প্রায় ১ হাজার পরিবার এখানে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। বনের ভিতর বসবাস করলেও জীবন জীবিকা উন্নয়নে বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদন করে আর্থিক স্বচ্ছলতার মূখ দেখছে ওরা। বিগত একযোগ ধরে মিয়ানমারের কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল হাকিম বাহিনীর প্রধান হাকিম ডাকাত এবং তার দলবল নিয়ে এ পাহাড়ে জগদ্ধল পাথরের ন্যায় আস্থান গেড়েছিল। তার অত্যচার, নির্যাতন, ডাকাতী, হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপকর্মে শিকার হয়েছিল পাহাড়ী এলাকাবাসী। সম্প্রতি স্থানীয় আইন শৃংখলা বাহিনী ও জনরোধে হাকিম বাহিনী এলাকা ছাড়া হয়ে যাবার পর তার স্থানটি দখলে নেয়, কথিত আরিফ বাহিনীর প্রধান আরিফ। এ আরিফ বাহিনীর উত্তানের পর শুরু হয়েছে হাকিম ডাকাতের নানা অপকর্ম। বর্তমানে বৈদ্যঘোনা ও ফকিরা মোরার আরিফ বাহিনীর রাজরাজত্ব চলছে। এ আরিফ বাহিনীর প্রধান আরিফ নিজেকে পাহাড়ী এলাকার অঘোশিত রাজা হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। ওদের অবৈধ আবদার রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত বাড়ীঘর উচ্ছেদ ও এলাকা ছাড়া হবে মর্মে হুমকি ও ধমকী আসছে বারংবার। এসব হুমকি ও ধমকির মূখে নীরবে বসবাস করছে এলাকাবাসী। কে এই আরিফ বাহিনীর প্রধান আরিফ। এ বাহিনী বৈধ্য ঘোনাকে একটি পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায় ব্যবহার করছে। বনের গাছ, পাহাড় নিধন, জায়াগ দখল বাণিজ্য ও মানুষের কাছ থেকে পাহাড়া দেওয়ার নামে জোড় পূর্বক অর্থ আদায়সহ নানা ধরনের অনৈতিক কাজ চালিয়ে বৈধ্য ঘোনাকে একটি ত্রাশের রাজত্ব করে যাচ্ছে। তার অত্যচারে নির্যাতনে এলাকাবাসি অতিস্টের মধ্যে ভোগছে। এ অর্থ বা চাঁদাদাবী দিতে না পারলে অন্যতায় অনেকে পরিবার উচ্ছেদের শিকার হয়েছে। এতে হতদরিদ্র পরিবার বাতাসীর মা, রমজানসহ অসংখ্য পরিবার রেহায় পায়নি। আরিফের পাহারা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে এখন লাপাত্তা। এমনকি জনৈক্য মজুনার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবী করলে শেষ পর্যন্ত সে ও ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। এছাড়া সাদু ফকিরের ঘর হাশিম উল্লাহ, চাউল ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ ও জেলে পরিবারসহ নাম জানা না জানা অনেকেই এদের অত্যচারে এলাকা ছাড়া হলেও ওদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। এমতাবস্থায় অসহায় পরিবার পরিজন নিয়ে ওরা নীরব ও নীতর অবস্থায় জীবন যাপন করছে। সরকার প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌচে দেওয়ার নামে পুরাতন পল্লান পাড়া পাহাড়ী এলাকার বৈদ্যঘোনা ও ফকিরা মোরায় টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ৩৫টি বিদ্যুতের খুটী সরবারহ করছে এবং বিদ্যুৎ বি ত পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। একে পুঁজি করে আরিফ বাহিনীর প্রধান আরিফের যোগ সাজশে স্থানীয় কালামিয়া ও ভূলো নামে এ ২ ব্যক্তি টেকনাফ পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তার নামে ভাংগিয়ে প্রতি বিদ্যুৎ খুটির মূল্য ৩,৫০০ টাকা ধার্য্য করে এবং ১২০ পরিবারের কাছ থেকে প্রতি পরিবারে ১৫শত টাকা বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে জোর পূর্বক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। জানা যায়, এসব খুঁটি সরকার বিনামূল্যে প্রদান করলেও ঐ চক্র নীরবে বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ অর্থ আদায়ের এলাকায় অভিযোগ উঠলেও ওরা কোন খুটির জোরে এ অর্থ আদায় করছে তাহা সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে। যাহা নিয়ে পাহাড়ী এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। একতো আরিফ বাহিনীর অত্যচার এবং অন্যদিকে বিদ্যুৎখুটি বাণিজ্যে এলাকাবাসী এক অতিষ্ঠের মধ্যে জীবন যাপন করছে। এ নিয়ে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়–য়া জানায়, এ খবর আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।

পাঠকের মতামত: