ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আদালতে বিচারক

ডেস্ক নিউজ:
বকশীবাজার অস্থায়ী আদালতের ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান আদালতে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি। এর আগে, সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার হাজিরা জমা দেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ‍দুর্নীতি মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। তবে মামলার দুই আসামি শরফুদ্দিন আহমেদকে ৮টা ২০ মিনিটে এবং কাজী সালিমুল হক কামিলকে ৯টা ১০ মিনিটে আদালতে নেওয়া হয়েছে ।
আদালতে বিচারক প্রবেশের আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুর রেজ্জাক খানসহ বেশকিছু বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল, ঢাকা মহানগরের পিপি আবু আবদুল্লাহসহ আরও কিছু আইনজীবী সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ১০ মিনিটের মধ্যে আদালতে প্রবেশ করেন।
এদিকে, রায়কে কেন্দ্র করে বকশীবাজার অস্থায়ী আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের আদালতে পৌঁছাতে পেরোতে হচ্ছে পাঁচটি চেকপোস্ট, এন্ট্রি করতে হচ্ছে নাম। এসময় বিএনপিপন্থী অনেক আইনজীবীই আদালতে প্রবেশ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত চত্বরের আশপাশের এলাকার মধ্যে পলাশী মোড়, বকশীবাজার ও মাঠের গেটে তিনটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া, আদালত চত্বরে ঢোকার মুখেও বসানো হয়েছে দুইটি চেকপোস্ট। এছাড়া, আদালতের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। আদালত এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বজায় রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আদালতে প্রবেশে কড়াকড়ি থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে আইনজীবীদের। বিএনপি আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদের সঙ্গেও আদালতে প্রবেশের মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
আদালত চত্বরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রসহ আদালতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন রয়েছে। আমরা তার (খালেদা জিয়া) নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।’
এদিকে, সকাল ১১টায় খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

পাঠকের মতামত: